বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর » স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে শ্বশুরবাড়ি পাঠালেন স্বামী
স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে শ্বশুরবাড়ি পাঠালেন স্বামী
তৈয়বুর রহমান (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার হালিশহরে ঘটে এ হত্যাকাণ্ড।মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে গাজীপুরের কালীগঞ্জে বাপের বাড়িতে ওই নারীর লাশ এসে পৌঁছে।
নিহতের নাম মারজিয়া আকতার লিপি (৩৪)। তার বাড়ি কালীগঞ্জের জামালপুর ইউনিয়নের চুপাইর গ্রামে। স্বামীর সঙ্গে থাকতেন পাহাড়তলীর হালিশহরে। এ ঘটনার পর থেকে লিপির স্বামী মোশারফ হোসেন সরকার পলাতক।
লিপি চুপাইর গ্রামের সরকারবাড়ির মৃত আবদুল আজিজের মেয়ে।তার স্বামী মোশারফ হোসেন সরকারও একই এলাকার হাসিমউদ্দিন সরকারের ছেলে।মোশারফের বাক প্রতিবন্ধী স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে চট্টগ্রামের হালিশহরে ভাড়া বাসায় থাকত।সেখানে ঠিকাদারি কাজ করত সে।
স্বজনরা জানান, বাক প্রতিবন্ধী লিপির সঙ্গে ২০ বছর আগে বিয়ে হয় মোশারফের। তাদের মধ্যে দাম্পত্য কহল চলছিল।প্রায় সময়ই স্বামী তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। এর জের ধরে মঙ্গলবার রাতে বাসায় লিপিকে পিটিয়ে হত্যা করেন মোশারফ।এর পর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে গাজীপুরের কালীগঞ্জে লিপির বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
নিহত লিপির মা রহিমা বেগম জানান, চট্টগ্রামে লিপির প্রতিবেশীরা ফোন করে তাদের জানিয়েছেন লিপিকে হত্যা করে মোশারফ পালিয়ে গেছে।
রহিমা বেগমের অভিযোগ, বিয়ের এক বছর পর থেকেই যৌতুকের জন্য মোশারফ লিপিকে চাপ দিয়ে আসছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার লিপিকে মারধর করেছে মোশারফ। তিন বছর আগে মোশারফ পিটিয়ে লিপির বাম চোখ নষ্ট করে দেয়।
কালীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মিজানুর হক জানান, খরব পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হত্যার ঘটনাটি চট্টগ্রামে ঘটেছে। তাই এ ব্যাপারে সেখানে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
এব্যাপারে মামলা তদন্ত কর্মকর্তা থান উপরিদর্শন রেজাউল করিম জানান খবর পেয়ে ঘঠনা স্থলে এসে নিহতের প্রাথমিক সুরত হাল তৈরে করে লাশের ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।