ওবাদুল কাদের সহ বাদ পড়ছেন ৭০ ভাগ কেদ্রিয় নেতা
পক্ষকাল আগাম সংবাদ-
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলের অধিবেশন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই আলোচনা সমালোচনা কানা ঘুষা ছড়িয়ে পড়েছে কারা আসছেন কে কে বিদায় নিচ্ছেন । আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছেন দলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার আগে প্রশ্ন উঠেছে হাজার হাজার অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দাতা কাদের স্যারের সিণ্ডিকেট । দলের সুবিধাবাদী এবং বিভক্তি সৃষ্টিকারীদের তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে যখন এসব করা হচ্ছে তখনই ওবায়দুল কাদেরের অবস্থান দলে টলটলায়মান হয়ে পড়ছে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিশেষ করে বিভিন্ন স্থানে ওবায়দুল কাদের তার পক্ষের লোকজনকেই শুধু পৃষ্টপোষকতা এবং গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে তৃণমূলরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযোগ করেছেন যে, ওবায়দুর কাদের তার গণ্ডির বাইরের লোকজনকে জায়গা দিতে চাইছেন না। এছাড়া আরও বেশি কিছু বিষয় প্রধানমন্ত্রীর গোচরীভূত হয়েছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ব্যপারে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করছেন এবং এবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে একটা বড় ধরণের চমক সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের কথা বিবেচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আসতে পারে কোনো তরুণ নেতাও।
আওয়ামী লীগের একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র বলেছে যে, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকদের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করছেন। এদেরকে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। তাদের কাজকর্মগুলো চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন। শেষ পর্যন্ত কে দলের সাধারণ সম্পাদক হবে তা চূড়ান্ত হতে আরো সময় লাগবে। তবে সংক্ষিপ্ত তালিকায় যারা আছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন
ড. আব্দুর রাজ্জাক: ড. আব্দুর রাজ্জাক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের সদস্য। সাধারণ সম্পাদক পদে কিছুদিন আগেও তিনি এগিয়ে ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত মন্ত্রীত্ব অথবা দলের সাধারণ সম্পাদক যে কোনো একটি গ্রহণ করা হলে, তিনি কোনটি নেবেন এটি নিয়ে তার মধ্যে দ্বিধা দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এবং শেষ পর্যন্ত তিনি আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক পদের ক্ষেত্রে বিবেচিত নাও হতে পারেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ডা. দিপু মনি: ডা. দিপু মনি আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক। সাজেদা চৌধুরির পরে তিনিও হতে পারেন আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক। তিনিও প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার গুড বুক ও সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তার বিরুদ্ধেও কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি এবং দলে বিভক্তি সৃষ্টির অভিযোগ নেই। এই বিবেচনা থেকে ডা. দিপু মনিও দলের সাধারণ সম্পাদকের পদের জন্য বিবেচনায় রয়েছেন বলে একাধিক সূত্র মনে করছে।
এছাড়া চমক হিসেবে আর দুই/এক জন তরুণ নেতার নামও আওয়ামী লীগ সভাপতির নোট বইয়ে জায়গা পেয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে আওয়ালী লীগ সভাপতির একজন ঘনিষ্ঠ নেতা বলেছেন যে, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ আওয়ামী লীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের ব্যপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন।