পেঁয়াজের কেজি২০০ টাকা পথে
পক্ষকাল সংবাদ –
বাজারে পেঁয়াজের দাম কমার কোন লক্কন নাই। বরং বাড়ছে প্রতিদিনই। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিদিনই পেঁয়াজের দাম গড়ে পৌনে ৬ টাকা করে বেড়েছে। শনিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ভালো মানের পেঁয়াজ ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার কারণে তারাও বেশি দামে বিক্রিতে বাধ্য হচ্ছেন। শনিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর পুরান ঢাকায় পাইকারি মার্কেট শ্যামবাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা, ভারতীয় ১৩৫ টাকা, মিসরের ১০৫ টাকা ও মিয়ানমারের ১২০ টাকা। খুচরা বাজারে মিসরেরটা ১২০ টাকা, মিয়ানমারের ১৩০ টাকা, ভারতের ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি। ১৪০ থেকে ১৫৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে মাঝারি মানেরটি। এক সপ্তাহ আগে খুচরা বাজারে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করার আগে যেসব এলসি খোলা হয়েছিল সেগুলো ইতিমধ্যে দেশে এসে গেছে। এখন আর নতুন করে আসছে না। এছাড়া মিয়ানমার থেকেও খুব বেশি আসছে না। মিসর ও তুরস্ক থেকে আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেগুলো আগামী সপ্তাহে দেশে এসে পৌঁছবে। এরপর বাজারে দাম কমে যাবে বলে মনে করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এদিকে মিয়ানমার থেকে ভারতের চেয়ে কম দামে আমদানির সুযোগ থাকলেও আমদানি হচ্ছে কম। কেননা মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্যের আওতায় কোনোরকম এলসি ছাড়াই পণ্য আমদানি হচ্ছে। বিশেষ করে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নগদ ডলারে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারেন। এ কারণে বড় আকারে কোনো চালান আসছে না। ছোট ছোট চালানের মাধ্যমে আসছে। ওই দেশ থেকে ছোট আকারে শনিবারও চালান এসেছে। সেগুলো কিনতে সেখানে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের পাইকাররা ভিড় করেছেন। সরবরাহের চেয়ে চাহিদা বেশি হওয়ায় ওখানেও এর দাম বেশি। এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার যেতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। এ কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয়ার সুপারিশ করেছেন। এজন্য দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা প্রয়োজন।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে দেশে উৎপাদন হয় ১৪ থেকে ১৫ লাখ টন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার ১৬ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বরের শুরু থেকে দেশি নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করবে। ওই সময়ে দাম আরও কমে যাবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।