সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » খেলাধুলা » তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
পক্ষকাল ডেস্ক-
মুশফিকের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশের জয় ।তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। মুশফিকের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের জয়ের পর সুগম হয়। মুশফিক আর সৌম্যের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ ভালো অবস্থায় যায়। সোম্য আউট হওয়ার পর মুশফিক আর মাহমুদউল্লাহ ব্যাটিংয়ে এ জয় আসে।
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৪৯ রানের টার্গেট দেয় ভারত। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে তারা।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের ওপেনার রোহিত শর্মাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন শফিউল ইসলাম। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি রোহিত। দলীয় ১০ রানে ব্যক্তিগত ৯ রান করে ফিরে যান তিনি। রোহিতের পর লোকেশ রাহুলকে সাজঘরে ফেরান আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। ১৭ বলে ১৫ রান করে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
বিপ্লবের হাওয়ায় ভাসানো বল তুলে মারতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ দেন ১৩ বলে ২২ রান করা শ্রেয়াশ আইয়ার। সীমানার কাছে দারুণ ক্যাচ ধরেন অভিষিক্ত মোহাম্মদ নাঈম শেখ। শ্রেয়াশ আইয়ারের পরে রান আউটে কাটা পড়েন শেখর ধাওয়ান। ওপেনিং নেমে হাফ সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ধাওয়ান। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে দুই রান নিতে গিয়ে আউট হন তিনি।
অভিষিক্ত দুবেকে বড় ধাক্কা দেন আফিফ। দুর্দান্ত এক ক্যাচে আফিফ ফেরান ভারতের এই ব্যাটসম্যানকে। শফিউলকে উড়াতে গিয়ে নাঈমের হাতে ক্যাচ দেন রিশাভ পান্ত। ২৬ বলে ২৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন পান্ত। ওয়াশিংটন সুন্দর ১৪ ও কুনাল পান্ডে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের হয়ে শফিউল ইসলাম ৪ ওভারে ৩৬ রান খরচায় কোনো উইকেট পাননি। মোস্তাফিজ ২ ওভারে ১৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন। ৩ ওভারে আমিনুল ২২ রান দিয়ে তুলে নেন দুটি উইকেট। সৌম্য সরকার ২ ওভারে ১৬, মোসাদ্দেক ১ ওভারে ৮, মাহমুদউল্লাহ ১ ওভারে ১০ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। আল আমিন ৪ ওভারে ২৭ রান খরচায় কোনো উইকেট পাননি। আফিফ হোসেন ৩ ওভারে ১১ রান দিয়ে পান একটি উইকেট।
ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৮ রানের মাথায় বিদায় ওপেনার লিটন দাস (৭)। এরপর জুটি গড়েন সৌম্য সরকার এবং মোহাম্মদ নাঈম। দ্বিতীয় জুটিতে তারা যোগ করেন ৪৬ রান। ব্যক্তিগত ২৬ রান করে বিদায় নেন নাঈম। যুভেন্দ্র চাহালের বলে বিগ শটে শিখর ধাওয়ানের হাতে ধরা পড়েন ২৮ বলে দুই চার আর একটি ছক্কা হাঁকানো এই অভিষিক্ত। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬০ রান যোগ করেন সৌম্য সরকার এবং মুশফিকুর রহিম। ব্যক্তিগত ৩৯ রানে বিদায় নেন সৌম্য। খলিল আহমেদের বলে বোল্ড হওয়ার আগে সৌম্য ৩৫ বলে এক চার আর দুই ছক্কায় তার ইনিংসটি সাজান। ১৭তম ওভারে দলীয় ১১৪ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
মুশফিক ১৯তম ওভারে খলিল আহমেদকে টানা চারটি বাউন্ডারি হাঁকান। টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ারে পঞ্চম ফিফটিও তুলে নেন। মুশফিক ৪৩ বলে আটটি চার আর একটি ছক্কায় ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৭ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় ম্যাচটি শুরু হয়। এ ম্যাচের মধ্যদিয়ে মোহাম্মদ নাঈমের অভিষেক হয়েছে।
সুত্র ইত্তেফাক