বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » জেলার খবর » কালীগঞ্জে তিন মাদরাসা ছাত্রকে শিকল মুক্ত করলেন ইউএনও
কালীগঞ্জে তিন মাদরাসা ছাত্রকে শিকল মুক্ত করলেন ইউএনও
তৈয়বুর রহমান (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের কালীগঞ্জের তুমলিয়া ইউনিয়নের ভাইয়াসূতি হাফিজিয়া মাদরাসা ও
এতিমখানার সেই তিন ছাত্র অবশেষে শিকলমুক্ত হয়েছে। গত বুধবার বিকেলে
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শিবলী সাদিক তাদের শিকলমুক্ত
করেন।
ভাইয়াসূতি হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার ছাত্র ইফাদ, ইয়াসিন ও আজিজুলের
বয়স ১৩ বছর। তাদের এক পা ছিল লোহার শিকলে তালাবদ্ধ। তাদের ২৪ ঘণ্টাই
কাটতো লোহার শিকলে তালাবদ্ধ অবস্থায়। এভাবেই প্রতিদিনের খাওয়া-দাওয়া,
টয়লেট-গোসল, লেখাপড়া, ঘুম সবই চলছিল। বিষয়টি শুরুতে নজরে আসে স্থানীয়
সাংবাদিকদের।
এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী
অফিসার (ইউএনও) মো. শিবলী সাদিকের নজরে আসে । পরে তিনি উপজেলা
সমাজসেবা কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে গত বুধবার ভাইয়াসূতি হাফিজিয়া মাদরাসা ও
এতিমখানায় যান। সেখানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান এবং ওই মাদরাসার
হেফজখানায় অধ্যয়নরত ইফাদ, ইয়াসিন ও আজিজুলের পায়ের তালাবদ্ধ লোহার
শিকল খুলে দেন। পাশাপাশি এই ধরণের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সে জন্য
মাদরাসার শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটিকে সতর্ক করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শিবলী সাদিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার
করে বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি।
ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সঙ্গে
কথা বলেছি এবং ওই প্রেক্ষিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর-ই-জান্নাত,
সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেনকে সহকারী ও উপজেলা সহকারী
কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জুবের আলমকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি
তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তাদেরকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
তদন্তের প্রেক্ষিতে আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।