শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

Daily Pokkhokal
শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » জাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণের দায়িত্ব কার
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » জাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণের দায়িত্ব কার
২৮৩ বার পঠিত
শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

জাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণের দায়িত্ব কার

পক্ষকাল ডেস্ক- --- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকদের একটি অংশ তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।
বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারির প্রেক্ষাপটে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন তারা উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে তাদের সংগ্রহ করা তথ্য-উপাত্ত সংকলন করেছেন।
তারা জানিয়েছেন, তথ্যগুলো শিক্ষামন্ত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে দেবেন।
উপাচার্য ফারজানা ইসলামকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলনকারীদের এক হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হলে অসত্য অভিযোগ তুলে আন্দোলন করে ক্লাস বন্ধ রাখার জন্য তাদের শাস্তি পেতে হবে।

---

আন্দোলনকারীরা বলেছেন, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে তারা তথ্য উপাত্ত দিলেও অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব সরকারের বলে তারা মনে করছেন।
কিন্তু দুর্নীতির কোন অভিযোগ উঠলে তা প্রমাণের দায়িত্ব আসলে কার- অভিযুক্তের নাকি অভিযোগকারীর?
আন্দোলনকারীদের তথ্য উপাত্ত কিসের ভিত্তিতে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর থেকে তা নিয়ে গণমাধ্যমে যে সব খবর প্রকাশ হয়েছে, তা সংগ্রহ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির আন্দোলনকারি শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
ঘটনাটিকে ঘিরে বিভিন্ন পক্ষের টেলিফোন আলাপও সামাজিক মাধ্যমে কিছু প্রকাশ হয়েছিল। সেগুলোকেও আন্দোলনকারিরা তথ্য উপাত্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির আন্দোলনরত একজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, তারা প্রকাশিত বিষয়গুলোকেই তাদের অভিযোগের স্বপক্ষে তথ্য প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরছেন।
Image caption জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলাম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের একটি অংশের আন্দোলনের মুখেও আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থান উপাচার্যের পক্ষেই দৃশ্যমান হয়েছে।
সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী আন্দোলনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনকারিদের উদ্দেশ্যে বলেছেন যে, অভিযোগকারীরা অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হলে তাদেরকেও শাস্তি পেতে হবে।
আন্দোলনরত একজন শিক্ষক মির্জা তাসলিমা সুলতানা বলেন, অভিযোগের তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব সরকারের বলে তারা মনে করছেন।
“আমরা বিষয়টার তদন্ত চেয়েছি বার বার। ৮০-৯০ এর দশকে বোফর্স কেলেঙ্কারির যে খবর সংবাদ মাধ্যমে এসেছিল, তার সূ্ত্রেই তদন্ত শুরু হয়েছিল। ফলে এখানে তদন্তের আগেই প্রমাণ দেয়ার বিষয় নেই। তবে আমরা যা জেনেছি, তাতো জানাবোই।”
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষক শিক্ষার্থিরা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যে, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে যেহেতু ছাত্রলীগের শীর্ষ দু’জন নেতাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে, সেটাই দুর্নীতির এই অভিযোগের তদন্তের বড় ভিত্তি হতে পারে।
প্রমাণের দায়িত্ব অভিযুক্তের নাকি অভিযোগকারীর
দুর্নীতিবিরোধী বেসরকারি সংস্থা টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বিবিসিকে বলেন, এখানে অভিযুক্তকেই মূল দায়িত্ব নিতে হবে।
“যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসবে আইন অনুযায়ী তাকেই নির্দোষ প্রমাণের জন্য দায়িত্ব পালন করতে হবে।”
তবে সরকার এসব বক্তব্য মানতে রাজি নয়।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলছিলেন, অভিযোগ প্রমাণের আগেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নিয়ে বক্তব্য দেয়া বা কোন প্রচারণা চালানো আইন সম্মত নয়।
তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী দুদকের তদন্ত শেষে মামলা হলে তখন অভিযুক্তকে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হয়। কিন্তু এর আগে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে তথ্য উপাত্ত দিয়ে তা প্রমাণের দায়িত্ব অভিযোগকারীর ওপরই বর্তায় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
“দুদক প্রথমে অনুসন্ধান করবে। তাতে অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ পেলে তখন তারা তদন্ত করবে। সেই তদন্তে তথ্য প্রমাণ মিললে তখন মামলা করবে। এই অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার সময় অভিযোগকারীকেই তথ্য উপাত্ত দিয়ে অভিযোগের ভিত্তি প্রমাণ করতে হবে। ফলে অভিযোগকারীর দায়িত্ব থাকবে মামলা হওয়ার আগে অনুসন্ধান পর্যায়ে। আর মামলার পর তিনি যে নির্দোষ অভিযুক্তকে তা প্রমাণ করতে হয়।”
দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, চাঁদাবাজির অভিযোগ তাদের এখতিয়ারে আসে না। ঘুষের বিষয় হলে দুদক নিজে থেকেই অনুসন্ধান করতে পারে।

সুত্র-কাদির কল্লোল বিবিসি বাংলা, ঢাকা



এ পাতার আরও খবর

টাকার রচনা : রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ টাকার রচনা : রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে  মেহেরপুর উন্মুক্ত পাঠগৃহে গ্রন্থ পাঠ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে মেহেরপুর উন্মুক্ত পাঠগৃহে গ্রন্থ পাঠ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত
সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী’র বিশ্বস্ত সহযোগী দুর্নীতিবাজ ওসি ফারুক’র খুঁটির জোর কোথায়? সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী’র বিশ্বস্ত সহযোগী দুর্নীতিবাজ ওসি ফারুক’র খুঁটির জোর কোথায়?
ফাতিমা হাসসুনা: একটি ক্যামেরা, একটি জীবন, একটি কণ্ঠস্বর যা চিরকাল প্রতিধ্বনিত হবে ফাতিমা হাসসুনা: একটি ক্যামেরা, একটি জীবন, একটি কণ্ঠস্বর যা চিরকাল প্রতিধ্বনিত হবে
ফাতিমা হাসসুনা: সাহসী এক কণ্ঠের পতন ফাতিমা হাসসুনা: সাহসী এক কণ্ঠের পতন
আমাজনের গভীর জঙ্গলে প্রাচীন নগর-সভ্যতার সন্ধান আমাজনের গভীর জঙ্গলে প্রাচীন নগর-সভ্যতার সন্ধান
আদালত প্রাঙ্গণে মেঘনা আলম জানালেন সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসার সে বৈধ স্ত্রী আদালত প্রাঙ্গণে মেঘনা আলম জানালেন সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসার সে বৈধ স্ত্রী
ক্রসফায়ারের ভয়’ দেখিয়ে ৪ কোটি টাকা নেন সাবেক সিআইডিপ্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া ক্রসফায়ারের ভয়’ দেখিয়ে ৪ কোটি টাকা নেন সাবেক সিআইডিপ্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া
নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই, দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে বগুড়া প্রতিনিধি নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই, দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে বগুড়া প্রতিনিধি
যে যা-ই বলুক না কেন, নির্বাচন কোনোভাবেই জুনের পরে যাবে না: ড. ইউনূস যে যা-ই বলুক না কেন, নির্বাচন কোনোভাবেই জুনের পরে যাবে না: ড. ইউনূস

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)