শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » রাজনীতি » বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য ত্যাগি কর্মি হিসাবে যথাযথ মুল্যায়ন প্রত্যাশা করি -সায়েম
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য ত্যাগি কর্মি হিসাবে যথাযথ মুল্যায়ন প্রত্যাশা করি -সায়েম
শফিক কাজলঃ কেন্দ্রীয় এবং মহানগরের আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনকে ঘিরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয় ধানমন্ডিতে নেতাকর্মীর ঢল নেমেছে ।কৃষক লীগের সম্মেলন দিয়ে সহযোগী সংগঠনগুলোর নতুন নেতৃত্ব এবং কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৬ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন হবে, একইসাথে ১১ এবং ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সাংগঠনিক গুরুত্বপূর্ণ শাখা ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণ এর সম্মেলন। এবারে নেতৃত্ব কেমন হতে পারে জানতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম জানান দুর্নীতির সাথে যুক্ত বির্তকিত কর্মকাণ্ড সংগঠনের ইমেজ নষ্ট কারি এমন কেউ নেতৃত্বে আসার কোন সুযোগ নাই ,যারা আগামীতে নেতৃত্ব দিবে তাদের অবশ্যই অভিজ্ঞ পরিছন্ন মানুষ ও সাংগঠনিক হতে হবে। ২০১২ সালে মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওসার এবং পঙ্কজ দেবনাথ কে সাধারণ সম্পাদক করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি গঠন করা হয়েছিল ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এই কমিটি এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এর মধ্য ক্যাসিনো কাণ্ডে কাওসার মোল্লা কে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে এবং ভিন্ন কারণে পঙ্কজ দেবনাথ কেউ। স্বেচ্ছাসেবক লীগ কে দীর্ঘদিন ধরে দেখভাল করেছেন সাবেক সভাপতি বাহাউদ্দিন নাছিম কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে তার প্রভাব থাকবে এটাই সাধারণ নেতাকর্মীদের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গিয়েছে। ত্যাগী ও যোগ্য নেতাকর্মীদের থেকেই এবার নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে । দীর্ঘ আলাপ এবং একজন ত্যাগী মাঠের নেতা কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সায়েমের সাথে সম্মেলন নিয়ে তার ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়া নিয়ে কথা হয়। আবদুল্লাহ আল সায়েম ১৯৮৮ সালে থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে ছাত্ররাজনীতি করার মধ্যে দিয়ে চড়াই উতরাই অতিক্রম করেছেন। স্কুল জীবনে সহপাঠীদের সাথে অন্তরঙ্গতা এবং কলেজ জীবনে একসাথে রাজনীতির মিছিল-সমাবেশ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সময় তার বন্ধু সহ সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীরা জানান সায়েম এবং তিনি একই এলাকায় বসবাস করে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছিলেন। তারপর ঢাকা কলেজে আব্দুল আওয়াল শামীম গোলাম রাব্বানী চিনু কমিটির সক্রিয় সদস্য হিসাবে তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে বিরোধী দলে থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির অকুতোভয় সৈনিক হিসেবে সব কর্মসূচিতে সায়েমের স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের সেই যে শুরু সেই শুরু থেকে আজ পর্যন্ত জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসাবে তার সেই পথ চলা আশ্চর্যরকম ধারাবাহিক ভাবে। ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মনোনীত প্যানেলে শাহেদ -সংগ্রাম -অমি পরিষদে সম্পাদকীয় পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন সায়েম সেই সময় ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের তান্ডব অত্যাচার হুঙ্কার এর সামনে তখন বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়া অনেক কঠিন কাজ ছিল। সায়েম সেই ভয় কে জয় করে ছাত্রলীগ করে গিয়েছেন দীর্ঘদিন। তৎকালীন ছাত্রনেতা জসিম ভাই আফজাল বাবুসহ বেশকিছু প্রকৃত মুজিব সৈনিক আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ সাহস ও অনুপ্রেরণা জীবনবাজি রেখে সংগঠন করা। সেই সময় কাল থেকে ছুটে চলেছেন ,সায়েমের ধ্যান জ্ঞান কর্ম সবকিছুই শুধু রাজনীতি ঘিরে। বাহাউদ্দিন নাসিম স্বেচ্ছাসেবক লীগের দায়িত্ব গ্রহণের সময় থেকেই সায়েম সংগঠন টির কেন্দ্রীয় কমিটিতে যুক্ত হয়েছেন সংগঠনের যেকোনো মিছিল-মিটিং সমাবেশ প্রতিবাদ সেবামূলক কাজ মানববন্ধন অথবা সরকার বাদলের যে কোনো উন্নয়নমূলক প্রচার-প্রচারণা এমনকি স্থানীয় সরকার বা জাতীয় নির্বাচনে দলের পক্ষে সকল কার্যক্রমকে সক্রিয় দেখা যায় ,সামনের কাতারে দেখা যায়্ তেমনি আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব রাজনৈতিক অগ্রজদের যেকোনো সমস্যা অসুস্থতা বা কোনো উৎসবে তার উপস্থিতি স্বাভাবিক বিষয় ।আমাদের প্রতিনিধি ২০০১ থেকে ২০০৭ এবং ১/১১ সম্পর্কে সায়েমের কাছে জানতে চাইলে তার ভূমিকা সম্পর্কে তখন তিনি বলেন ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকারের পেটোয়া বাহিনীর নির্মম নির্যাতনে নিজের শরীরটাকে প্রতিবাদের ক্যানভাস বানিয়ে হাসপাতালে শুয়েছিলেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় পড়ে ছিলেন দীর্ঘদিন,ততকালীন সময়ে জামাত বিএন পির শাসন কালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এ আজিজের পদত্যাগের দাবিতে পুলিশ ও পেটোয়া বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে ছিলেন।
সায়েম জানান বলতে দ্বিধা নেই সমসাময়িক রাজনীতিতে অনেকে তখন আবির্ভাব হয়নি। ১/১১র পটভূমিতে নেত্রীর মুক্তি আন্দোলন সংগ্রামের মিছিল-সমাবেশে জননেতা আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের নির্দেশে যোগ্য রাজনৈতিক কর্মি হিসাবে সব সময় তিনি রাজপথে সামনের কাতারে থেকেছেন কখনো ভয়-ভীতি জেল-জুলুমকে ভয় না করে দলের দুর্দিনে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন দলকে সংগঠিত করে আন্দোলন করার সংগ্রাম করা নেত্রীর মুক্তির জন্য মিছিল মিটিং করা উদ্যোগ নিয়েছেন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সময়কাল পর্যন্ত বিএনপি‘র শাসনামলে ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিএনপি সরকারের হামলা মামলা ও নির্যাতন সহিংসতা শিকার হওয়া নেতাকর্মীদের আশ্রয় স্থল বাসা। সবকিছু তার কাছে জানতে চাওয়া হয় আপনি এ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে দলে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে গিয়েছেন সংগঠন কি সুসংগঠিত রাখার জন্য আসন্ন সম্মেলনে আপনি নিশ্চয় আপনার ভূমিকা ত্যাগ এবং সাংগঠনিক পারদর্শিতা কারণে যোগ্য মূল্যায়ন প্রত্যাশা করেন কিনা । জবাবে সাইয়েম বলেন আমি ছাত্র রাজনীতির থেকে উঠে আসা কর্মি,ধারাবাহিক ভাবেই ধাপে ধাপে আজ স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রিয় কমিটিতে এসেছি। আমি কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহ ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করি ।পরবর্তীতে ২০১২ সালে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের দায়িত্ব পায় । আমি আমার যথাযথ দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করে গিয়েছি এই সময় কালে ,এছাড়া রাজনৈতিক ভূমিকা আমাদের সংগঠনের নাম সুনাম ক্ষুন্ন হবে এমন কর্ম আমি কখনোই করিনাই করতেও চাইনা। আগামী ১৬ই নভেম্বর কেদ্রিয় সম্মেলন কে সামনে রেখে একজন ত্যাগী নির্লোভী রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমার যথাযথ মূল্যায়নের প্রত্যাশা আমি অবশ্যই করি। সবশেষে বলতে চাই ,জননেত্রীশেখ হাসিনা সব সময় আদর্শিক ত্যাগি সৎ যোগ্য নেতাকর্মিদের মুল্যায়ন করেন ,সুস্থ্যধারা নেতৃত্ব বিশ্বস্ত কর্মিদের পাশে সব সময় থাকেন ।কারন বঙ্গবন্ধুর কন্যা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে শেষ কথা শেষ আশ্রয়স্থল ।এই সম্মেলনে ও কাউন্সিলে ত্যাগী নেতা কর্মীদের সঠিক মুল্যায়ন হবে এটা আমার বিশ্বাস ।কারন দল ও দেশের প্রয়োজনে নেতা অ নেতৃতে র প্রতি অবিচল আরো বড় পরিসরে দায়িত্ব পালনের জন্য আমি নিজেকে প্রস্তুত করেছি ,কর্ম ও সাংগঠনিক দক্ষতা এবং নেত্রীর প্রতি অনুগত ত্যাগের পুরুস্কার হিসাবে আমি নেত্রীর কাছে প্রত্যাশা করি তিনি যথাযথ মুল্যায়িত করবেন । আমি কাজ করার সুযোগ পেলে আমার পুর্ন মেধা প্রয়োগ করে সংগঠনকে পরিচ্ছন্ন রুপে আগামীতে বিকশিত করতে পারব। সর্বপরি নেত্রী এবং দল আমাকে যেখানেই রাখবে আমি আজীবন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য নিবেদিত ত্যাগি কর্মি হিসাবেই কাজ করে যাব ।