শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » » সুন্দরবনের দুবলার চর এলাকায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের অগ্রবর্তী অংশ আঘাত করেছে
সুন্দরবনের দুবলার চর এলাকায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের অগ্রবর্তী অংশ আঘাত করেছে
পক্ষকাল প্রতিনিধি - হানতে শুরু করেছে। দুবলার মাঝেরচর থেকে জেলেরা মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ১০/১৫মিনিট ব্যাপী ঝড়োবাতাস বয়ে গেছে। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর দুপুরে সিডর এভাবেই প্রথমে আঘাত হানে এবং বিকাল থেকে তা প্রায় ২০০ কিলোমিটার গতিবেগে দুবলার চরের জেলে পল্লী গুলো তছনছ করে দেয়। সিডরের মতই বুলবুলের গতি প্রকৃতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তবে বুলবুল দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বরিশাল, ঢাকা, কুমিল্লা অঞ্চল দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুন্দরবন অতিক্রম করার পর ঘূর্ণিঝড়ের বেগ অনেক থাকবে। বিকেল ৪টা বা ৫টা থেকে ধরলে আগামী ২৪ ঘণ্টা পুরো বাংলাদেশে এর প্রভাব থাকবে। রংপুর বিভাগে প্রভাব একটু কম থাকলেও সারাদেশেই এর প্রভাব থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়টি অতি প্রবল হয়ে প্রবেশ করবে। এ ঘূর্ণিঝড়ের জন্য সুন্দরবন একটা বড় বাধা। এটা হয়তো অনেকটাই রক্ষা করবে। যেহেতু এটা প্রবল ঘূর্ণিঝড়, তারপরও ওইরকম ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় এখনও অতি প্রবল অবস্থায় রয়েছে। উপকূলের কাছাকাছি এসে হয়তো সামান্য তীব্রতা কমতে পারে। তবে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।এ আবহাওয়াবিদরা জানান, জোয়ার শুরু হবে বিকেল ৩টা দিকে। রাত ৯টা ৬ মিনিটে জোয়ারের বা জলোচ্ছ্বাসের সর্বোচ্চ উচ্চতা ২ দশমিক ৮৫ মিটার হতে পারে পশুর নদীতে। পশুর নদী ছাড়াও খুলনা ও বরিশালে যেসব নদীতে জোয়ার থাকবে সেখানে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশে প্রবেশের পর ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাসার্ধ কমপক্ষে ১০০ কিলোমিটার আর ব্যাস ২০০ কিলোমিটার থাকতে পারে।