রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » শহীদ নূর হোসেনকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর এরশাদকে ঘৃণা প্রদর্শন করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ:
শহীদ নূর হোসেনকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর এরশাদকে ঘৃণা প্রদর্শন করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ:
শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে গুলিস্তানে স্থাপিত শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন পাশাপাশি নূর হোসেনকে হত্যার অপরাধে স্বৈরাচার এরশাদের প্রতীকী ছবিতে ঘৃণা প্রদর্শন করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। আজ ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে সকাল ৮ টায় রাজধানীর গুলিস্তানে স্থাপিত শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর স্বৈরাচার এরশাদের ছবি সম্বলিত প্রতীকীতে ঘৃণা প্রদর্শন করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতৃবৃন্দ।
শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: আল মামুন বলেন, ” শহীদ নূর হোসেন নিজের জীবন আত্মাহুতি দিয়ে স্বৈরাচার এরশাদের অবৈধ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। নিজের বুকে পিঠে স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক লিখে সেদিন প্রতিবাদ করতে গিয়ে স্বৈরশাসক এরশাদ সরকারের পেটোয়া বাহিনী গুলিতে নূর হোসেন শহীদ হন। শহীদ নূর হোসেনের হত্যাকাণ্ড গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে আরো বেগবান করে। নূর হোসেনকে হত্যার পর এরশাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষ আরো ক্ষোভ ফেটে পড়ে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী এরশাদকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। এরশাদ বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছিলো এবং ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সংবিধানে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ঢুকিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিলো। বাংলার ছাত্রসমাজ কোনদিন তার এই অপকর্ম ভুলবে না। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ শহীদ নূর হোসেনের বিদায়ী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছে এবং গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। জাতীয় পার্টিকে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের জন্য জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে এবং শহীদ নূর হোসেন চত্বরে এসে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করতে হবে। অন্যথায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ প্রতিবছর এই
দিনে স্বৈরাচার এরশাদকে ঘৃণা প্রদর্শন করে যাবে।”
শহীদ নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন এবং স্বৈরাচার এরশাদকে ঘৃণা প্রদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি সোহেল রানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নূর আলম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার ফেরদৌস, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, উপ-প্রচার সম্পাদক ফাতেমা তুজ জোহরা রিপা, শাহবাগ থানার সভাপতি ইসরাফিল পাভেল, মাওলানা ভাষানী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সবুজ বিশ্বাসসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।