রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » সুসময়ের মন্ত্রী-এমপিদের দল ত্যাগে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: গয়েশ্বর
সুসময়ের মন্ত্রী-এমপিদের দল ত্যাগে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: গয়েশ্বর
পক্ষকাল ডেস্ক-
দুই-একজন নেতাকর্মী দল ছাড়লে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি দলের সুসময়ে বিভিন্ন মানুষকে এমপি-মন্ত্রী হওয়া। কারণ তারা আন্দোলন সংগ্রাম করে বর্ণাঢ্য জীবন লাভ করেন নাই। আমাদের নেতাকর্মীদের ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়া যে সরকার গঠন করেছিলেন তখন অনেক নামিদামি নাদুসনুদুস নেতারা আমাদের দলে এসেছেন। তাদের মনে হয় দেশের এমন পরিস্থিতিতে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে, আর সহ্য হচ্ছে না। সেই কারণে তারা প্রস্থান করতে চায় এগুলো নিয়ে মনে হয় বিচলিত হওয়ার কিছুই নেই। কমলাপুরে গিয়ে দেখবেন কতগুলো ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে আবার অপর পাশ থেকে কতগুলো ট্রেন আবার আসছে। তারপরও আপনারা দেখবেন প্লাটফর্মে লোকের অভাব নেই।’
রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি একটি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দলের প্ল্যাটফর্ম, একটি বটগাছ। ক্লান্ত শরীর নিয়ে মানুষ এখানে আসবে বিশ্রাম নেবে পিপাসা মেটানোর পরে আবার চলে যাবে এটাই স্বাভাবিক। এদেরকে বেশি গুরুত্ব দেয়ার দরকার নেই। আমাদের বিচলিত হওয়ারও কিছুই নেই।
সম্প্রতি দলটির ভাইস-চেয়ারম্যান মোর্শেদ খানের দল থেকে পদত্যাগের বিষয়ে ঈঙ্গিত করে তিনি বলেন, দুই একজন নেতাকর্মী দল ছাড়লে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, দেশে গণতন্ত্র নাই। মানুষের স্বাধীনতা নাই। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নাই। যার কারণে দেশে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। তার পরেও কিন্তু খেলা থেমে নেই। আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস দেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করার জন্য গণতন্ত্রের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। তিনি বলেন, আগ্রাসী শক্তির হাত থেকে দেশকে মুক্ত করাই ছিল ৭ নভেম্বরের চেতনাবোধ। আজকে আগ্রাসী শক্তির কাছে আমরা যেন মাথা বিক্রি করে দিয়েছি। যেনতেনভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দেশের স্বার্থ সম্পদ সব বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আমরা কোনোভাবেই যেন ধৈর্যহারা না হই।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে এবং আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এসকে সাদীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মোহাম্মাদ জসিম, নাজিম উদ্দিন মাস্টার, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জিয়াউল হায়দার পলাশ, মাইনুল ইসলাম, অধ্যাপক সেলিম হোসেন, লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, কৃষিবিদ মেহেদি হাসান পলাশ, আলহাজ্ব খলিলুর রহমান ইব্রাহিম এম জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুর রাজি প্রমুখ।