সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » শিক্ষা ও ক্যারিয়ার » ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের আরাম গাড়ির কমিটি , ৩ মাস টু ৩ বছরে বাজিমাত
ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের আরাম গাড়ির কমিটি , ৩ মাস টু ৩ বছরে বাজিমাত
ভূক্তভোগী রেগুলার ছাত্রী নাবিলা খন্দকার ইতি’র কথা-
ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের ৩ মাস মেয়াদী আহবায়ক কমিটি প্রায় ৩ বছর লুটেপুটে খেয়ে গেছে।আহবায়ক কমিটি ৩ বছর অবৈধভাবে খেয়ে সাবেক হয়েছে বটে এখনো খাচ্ছে লুটেপুটে ।
ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়ে গেছে ৩/৪ মাস পূর্বে।এখন সবাই সাবেক।নতুন কমিটি এখনো হয়নি।দু:খের বিষয় সাবেক আহবায়ক এবং যুগ্ন-আহবায়ক রা এখনো প্রতিটি হলে রুম দখল করে আছেন।তারা অবৈধভাবে এখনো হলে সিট বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।প্রতি মাসে হলে মেয়ে উঠিয়ে লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
জানা যায়, ১ জন মেয়ের কাছ থেকে ১৫-২৫ হাজার টাকা নেন হলে উঠানোর জন্য।বিভিন্ন চাকুরীর পরীক্ষায় হল ম্যানেজ করে,প্রশ্নের উত্তরপত্র সরবরাহ করেন ৫-১০ লাখ টাকার বিনিময়ে।এ নিয়ে অসংখ্যবার নিউজ হলে ও প্রতিকার মিলেনি।এখনো তারা এসব অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বহাল তবিয়তে।
ছাত্রলীগের পদ পাওয়ার আগে একেকজন ২০০০-৩০০০ টাকা দামের মোবাইল চালাত।এখন তাদের আইফোনের অভাব নাই।অনেকের বাড়ীতে ছিলো মাটির/কাঠের ঘর,এখন বিলাসবহুল বিল্ডিং।তাদের শাড়ী চুরি ড্রেসআপ আর পার্লার খরচ মাসে ২ লক্ষাধিক টাকা।
অনেক নেত্রীরা আবার দেশে ডাক্তার ও দেখায় না। একটু সর্দি কাশি আসলে ও বিদেশ যায় ডাক্তার দেখাতে।তাদের মত বিলাসবহুল জীবন কোনো শিল্পপতির মেয়েরা ও করতে পারেনা। এত টাকা কোথায় পেলো তারা?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, যাদের দেখতাম ৫০০-৮০০ টাকা দামের থ্রী পিছ পরতে,তারা এখন ৩০-৫০ হাজার টাকা দামের ড্রেস পরেন।জন্মদিনে লাখ-লাখ টাকা ব্যয় করে পার্টি দেন। তাদের অনেকের ই ঢাকা শহরে ফ্লাট,বাড়ী,গাড়ী রয়েছে।গ্রামের বাড়ীতে করেছেন বিলাশবহুল অট্টালিকা।
তিনি আরও বলেন, সরকারের সকল অর্জন,দেশরত্ন শেখ হাসিনার সফলতা এবং ইডেন কলেজের সম্মান আপনাদের ব্যক্তি স্বার্থে আর নষ্ট করবেন না প্লিজ।বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২ অভিভাবক জয়-লেখক ভাইয়ের নিকট আহ্বান রইলো, আপনারা ইডেনের এসব সদ্য সাবেকদের সকল অবৈধ কর্মকান্ড কঠোর হস্তে দমন করুন।এদের অবৈধ অর্থের উৎস খুজে বের করে দুদক কে দিয়ে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন।