বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর » বেনাপোল কাস্টমস ভোল্ট থেকে স্বর্ণ চুরি ৫ জন বরখাস্ত,সন্দেহ মুলক পাঁচ জন আটক
বেনাপোল কাস্টমস ভোল্ট থেকে স্বর্ণ চুরি ৫ জন বরখাস্ত,সন্দেহ মুলক পাঁচ জন আটক
আমিনুর রহমান তুহিন,বেনাপোল যশোর,বেনাপোল কাস্টস হাউজের নিরাপদ গোপনীয় লকার ভেঙ্গে দুর্ধর্ষ কোটি কোটি টাকার স্বর্ণ চুরি হয়। দুর্ধর্ষ চুরি উদঘাটনে বেনাপোল পোর্ট থানা সহ, ডিবি, সিআইডি (ক্রাইম সিন) ও পিবিআই ঘটনাস্থলে তদন্ত কাজ শুরু করেন।
শুক্রবার,শনিবার রবিবার তিন দিন সরকারি ছুটি থাকায় কোন কর্মকর্তা অফিসে ছিলেন না। সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে অফিস খুললে চুরির বিষয়টি ধরা পড়ে। এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয় কাস্টমস হাউজে।তখন কি পরিমাণ মালামাল চুরি হয়ে গেছে তা কাস্টমের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।এ ঘটনায় কাস্টমস ভোল্ট ইনচার্জ এআরও সাইফুল ইসলাম সহ ৪জন সিপাহি,পারভেজ,মোর্তজা
,নজরুল,সাধন সহ ৫ জনকে বরখাস্ত করা হয়।
সর্বশেষ রাত ১০টা পর্যন্ত ডিবি, সিআইডি, পিবিআই, র্র্যাব ও বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি সহ কর্মকর্তারা ওই লকার রুম থেকে আলামত সহ হাত পায়ের ছাপ নির্ণয় সকল তথ্য প্রমান সংগ্রহ করেন।
এ সময় ঘটোনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, ডিএসবির এএসপি তৌহিদুল ইসলাম,সিআইডি ইন্সপেক্টর হারুনর রশিদ, র্র্যাব কর্মকর্তা কামরুজ্জামান, বেনাপোল কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার শহিদুল ইসলাম, বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান।
ডিএসবির এডিশনাল এএসপি তৌহিদুর ইসলাম জানান, বেনাপোল কাস্টমের গুদামে বিকল্প চাবি ব্যবহার করে চুরির ঘটনা ঘটতে পারে তা তদন্ত সাপখে করে দেখা হবে।এখানে সিসি ক্যামেরা ৮,৯,১০তাং ৩ দিন পর্যন্ত বন্ধ ছিলো ও সিসি ক্যামেরা সংযোগ বিচ্ছন্ন ছিলো।স্বর্ণ কি পরিমাণ পণ্য খোয়া গেছে তার গণনা কাজ চলছে পরে জানানো হবে।তিনি আরো বলেন শুধু স্বর্ণ চুরি হয়েছে। স্বর্ণের পরিমান ছিল ৩০কেজি যার মধ্যে ১৯.৩৮০গ্রাম চুরি হয়েছে।তদন্তে স্বার্থে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য পাঁচ জন কে আটক করা হয়।আটকৃতদের মধ্যে কাস্টমস ভোল্ট ইনচার্জ এআরও সাইফুল ইসলাম,সিপাহি পারভেজ সহ ৩জন ইনজিওরা হলো,সুরোত,মহাব্বত,আজিবার।
বেনাপোল কাস্টস হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী জানান, কি পরিমাণ অর্থ সম্পদ খোয়া গেছে এটা এ মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।ভোল্ট ইনচার্জ এআরও সাইফুল ইসলাম সহ ৫ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় যুগ্ম কমিশনার মো. শহীদুল ইসলামকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়