মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪
প্রথম পাতা » » কেন্দ্রীয় কারাগার হবে কেরানীগঞ্জে
কেন্দ্রীয় কারাগার হবে কেরানীগঞ্জে
পক্ষকাল প্রতিনিধি, গাজীপুর
আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার লালবাগ থেকে কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে কেন্দ্রীয় কারাগারের নয় একর জায়গা জনগণের জন্য একটি পার্ক ও দুটি জাদুঘর নির্মাণে ব্যবহার করা হবে।
আজ মঙ্গলবার গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার ক্যাম্পাসের প্যারেড গ্রাউন্ডে কারা সপ্তাহ-২০১৪-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাসস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘পাপকে ঘৃণা করো, পাপীকে নয়’-এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে সরকার কারা প্রশাসন পরিচালনা করছে। তাই সরকার কারাগারের পরিবেশ উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। আদিকালে মূলত অপরাধীদের সাজা প্রদানের জন্যই কারাগার সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু সভ্য দুনিয়ায় কারাগারকে সংশোধনাগার ও পুনর্বাসন কেন্দ্র হিসেবেই বিবেচনা করা হয়।
কারা সপ্তাহ উদযাপনে কারা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দীর্ঘ সাত বছর পর কারা সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। আমি আশা করি, এ সপ্তাহ পালনের মধ্য দিয়ে আপনাদের কর্মস্পৃহা আরও বাড়বে এবং বন্দীদের সুশৃঙ্খলভাবে নিরাপদ আটক ও তাঁদের প্রতি মানবিক ব্যবহার নিশ্চিত হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপরাধীদের নিরাপদে আটক রাখার মাধ্যমে সমাজে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অটুট রাখতে কারারক্ষীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। দেশ ও জাতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জঙ্গি ও শীর্ষ সন্ত্রাসীরা যাতে কারাগারের ভেতর থেকে জঙ্গি তৎপরতা বা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে না পারে, সে লক্ষ্যে কারা নিরাপত্তাব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা হবে। একই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘যারা এ সমস্ত জঙ্গি, সন্ত্রাসী কিংবা মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে কারা সপ্তাহ উদ্বোধন করেন। এ সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সাংসদ এবং সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কারা সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে প্যারেড গ্রাউন্ডে আকর্ষণীয় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী সেখানে বলেন, ২০০৯ সালে সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার স্মৃতির উদ্দেশ্যে ‘কারা স্মৃতি জাদুঘর’ স্থাপন করে। একে জাতীয় জাদুঘরের শাখা জাদুঘর হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরের পর এ জাদুঘর দুটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। যাতে জনগণ জাতির পিতা ও জাতীয় চার নেতার কারাবাসকালীন স্মৃতি সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে।