বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ | অর্থনীতি » পরিবহন সেক্টরের চাঁদাবাজিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও জড়িত:সাবেক স্বরাষ্ট্রমিন্ত্রী
পরিবহন সেক্টরের চাঁদাবাজিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও জড়িত:সাবেক স্বরাষ্ট্রমিন্ত্রী
পক্ষকাল ডেস্ক-
পরিবহন সেক্টরের চাঁদাবাজিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও জড়িত:সাবেক স্বরাষ্ট্রমিন্ত্রী
শুধু আওয়ামী লীগ, বিএনপি কিংবা বাম দলগুলোই নয়- পরিবহন সেক্টরের চাঁদাবাজির সঙ্গে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম।
বুধবার (২০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট (ফারুক) আয়োজিত জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে ও শেখ রাসেলের জন্মদিনকে ‘শিশু রক্ষা’ দিবস হিসেবে পালনের দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
চাঁদাবাজিকে পরিবহন সেক্টরের বড় সমস্যা উল্লেখ করে নাসিম বলেন, ‘আমি একদিন হোম মিনিস্টার ছিলাম। এখন আমি বলছি- পরিবহন সেক্টরে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল চাঁদাবাজি। এখানে বামপন্থিরাও আছে, আওয়ামী লীগ-বিএনপি সবাই আছে। এই পরিবহন সেক্টরের নেতারা সবাই রাজনীতি করে। কিন্তু তারা চাঁদার ব্যাপারে সবাই একমত। ওখানে কমিউনিস্ট নেতার সাথে আওয়ামী লীগ নেতার কোনও পার্থক্য নাই, বিএনপি নেতার সাথে জামায়াত নেতার কোনও পার্থক্য নাই। এমনকি এই চাঁদাবাজির সঙ্গে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও জড়িত আছে। এই পরিবহন সেক্টরের চাঁদার সমস্যা সমাধান করতে পারলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।’
পরিবহন ধর্মঘট ডাকার বিষয়ে মালিক শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের রাজনীতি করে, শেখ হাসিনা জনগণের রাজনীতি করেন। আপনারা আলোচনায় বসতে পারতেন। আপনারা টেবিলে না বসে আগে ধর্মঘট ডেকে দিলেন মানুষকে কষ্ট দেয়ার জন্য। এটা ঠিক করেননি।’
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে নাসিম বলেন, ‘আইনটি প্রয়োগ করার সাথে সাথে জনগণকে জিম্মি করে ধর্মঘট শুরু হয়ে গেল। জনগণকে জিম্মি করে যে ধর্মঘট ডাকা হলো তাকে আপনারা (বিএনপি) সমর্থন করলেন। এই রাজনীতি আমরা করি না।’
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে নাসিম বলেন, ‘ক্যাসিনো-কাণ্ড নিয়ে যদি এত ব্যবস্থা করা যেতে পারে, তাহলে এদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। ক্যাসিনো-কাণ্ড যারা করে, তারা অপরাধী। তাহলে কেন পরিবহন সেক্টরে যারা জনগণকে জিম্মি করে রাখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না? শক্ত করে ব্যবস্থা নিন, তাহলে এই পরিবহন সেক্টরে কেউ ধর্মঘট করার সাহস পাবে না।’
জনগণকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘একটু ধৈর্য ধরুন। আপনারা দু-একদিন একটু কষ্ট করেন। দেখবেন, ওই সমস্ত মাফিয়াচক্র ঠান্ডা হয়ে যাবে।’
শেখ রাসেলের জন্মদিনকে ‘জাতীয় শিশু রক্ষা দিবস’ হিসেবে পালন করা যায় কিনা এ ব্যাপারে সংসদে আলোচনা করবেন বলেও জানান নাসিম।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএ কাদের খান ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যনির্বাহী সভাপতি ফাল্গুনী হামিদ প্রমুখ।