বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » মুসলিম ছাড়া অন্য সব ধর্মের মানুষকে ভারতে রাখার ঘোষণা অমিত শাহর
মুসলিম ছাড়া অন্য সব ধর্মের মানুষকে ভারতে রাখার ঘোষণা অমিত শাহর
পক্ষকাল ডেস্ক সংবাদ-
শুধু আসামের মধ্যে আটকে থাকবে না। সারা ভারতেই জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকরণ (এনআরসি) হবে । বুধবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের তৃতীয় দিনে সেকথাই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বললেন, প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ভারতে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান এবং জৈনদের শরণার্থীর মর্যাদা দেবে সরকার। এর সঙ্গে কোনও বিশেষ ধর্মকে নিশানা করার ব্যাপার নেই। খবর এনডিটিভির।
পর্যবেক্ষকদের মতে, অমিত শাহর এই কথার মধ্যে দিয়েই বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের মতো দেশগুলো থেকে আসা মুসলিমদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবেই গণ্য করবে সরকার।
এই প্রসঙ্গে নাগরিকত্ব সংশোধন বিলের বিষয়টিও ছুঁয়ে যান শাহ। বলেন, ‘প্রতিবেশি দেশগুলোতে বৈষম্যের শিকার হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান এবং জৈনদের নাগরিকত্ব পাওয়া উচিত এ দেশে। সেই জন্যই নতুন নাগরিকত্ব বিল আনা প্রয়োজন।’
মুসলিমদের কথা বাদ দেয়ায় প্রশ্ন তোলেন এনসিপির এক মুসলিম সংসদ সদস্য । জবাবে অমিত শাহ বলেন, ‘আপনি এনআরসি আর নাগরিকত্ব বিলকে গুলিয়ে ফেলছেন। এনআরসির আওতায় সবাইকে আসতে হবে। এর সঙ্গে কোনও ধর্মকে নিশানা করার ব্যাপার নেই।’
আসামে নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা থেকে ইতিমধ্যেই ১৯ লক্ষের বেশি মানুষের নাম বাদ গিয়েছে। এ ব্যাপারে বুধবার শাহ বলেন, ‘তালিকায় নাম বাদ গেলে ফরেনার্স ট্রাইবুনালে যাওয়ার অধিকার রয়েছে প্রত্যেকের। আসামের বিভিন্ন প্রান্তে এই ট্রাইবুনাল গড়ে তোলা হবে। কারও সামর্থ্য না থাকলে, আসাম সরকার তার আইনজীবীর খরচ বহন করবে।’
গত সেপ্টেম্বর মাসে পশ্চিমবঙ্গের নেতাজি ইন্ডোরের রাজ্য বিজেপির সভায় এসেও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বিস্তারিত বলে গিয়েছিলেন অমিত শাহ ।
বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘ঘরে ঘরে গিয়ে বলুন। কোনও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবে না। প্রত্যেককে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অধিকার দেবে নরেন্দ্র মোদির সরকার।’ এদিন সংসদেও আরেকবার পরিস্কার করলেন, এনআরসি হবে সারা ভারতেই।
রাষ্ট্রহীন হিন্দুদের ভারতের নাগরিকত্ব দিতে পার্লামেন্টের এই অধিবেশনে নাগরিকত্ব সংশোধন বিল উঠানোর পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। কার্যত আসামের নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়া অমুসলিম শরণার্থীদের বৈধতা দিতেই এ সংশোধনী আনা হচ্ছে।
সাউথ এশিয়ান মনিটর