শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Daily Pokkhokal
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ব্যাংক-বীমা | ব্রেকিং নিউজ | শেয়ারবাজার » ২০১৫ সালে দেশ থেকে পাচার হয়েছে ৬৫ হাজার কোটি টাকা
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ব্যাংক-বীমা | ব্রেকিং নিউজ | শেয়ারবাজার » ২০১৫ সালে দেশ থেকে পাচার হয়েছে ৬৫ হাজার কোটি টাকা
৫৪৭ বার পঠিত
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

২০১৫ সালে দেশ থেকে পাচার হয়েছে ৬৫ হাজার কোটি টাকা

---পক্ষকাল সংবাদ-
স্বল্পোন্নত (এলডিসি) ৪৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচারের হার তুলনামূলক বেশি বলে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা আংকটাডের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। সংস্থাটি বলেছে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে, তা ওই বছরের মোট রাজস্ব আদায়ের ৩৬ শতাংশের সমান। পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।
বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামে (ইআরএফ) আংকটাডের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। আংকটাডের প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ গত এক দশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সাফল্য দেখালেও রাজস্ব আদায়ের দিক থেকে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে পেছনের সারিতে রয়ে গেছে। রাজস্ব আদায়ে এ পর্যন্ত যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার ভিত্তিতে ১ নম্বরের দশমিক ৬৭ নম্বর পেয়েছে বাংলাদেশ। কর খাত সংস্কারে ২৯টি স্বল্পোন্নত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২৭তম।
রাজস্ব আদায়ে পিছিয়ে পড়ার বড় কারণ হলো অর্থপাচার। রাজস্ব আদায় না বাড়ার কারণে বৈদেশিক ঋণের ওপর ভর বাড়ছে সরকারের।
আংকটাডের প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক নিয়ে সিপিডি বলেছে, দেশের অর্থনীতির অন্যতম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদেশে অর্থপাচার। অর্থপাচার বন্ধ হলে বিনিয়োগ বাড়ার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়বে।
সিপিডি বলেছে, বাংলাদেশ এরই মধ্যে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। আগামী ২০২৪ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার কথা রয়েছে। এই দুই উত্তরণের ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক সহায়তায় তিনটি প্রভাব পড়তে পারে। প্রথমত, সাশ্রয়ী হারে আগে যেভাবে অর্থ পাওয়া যেত সেটি বন্ধ হবে, রপ্তানিতে বিভিন্ন দেশের বাজার সুবিধা কমবে এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা কমে যাবে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিকল্প কী করণীয় তা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করার সুপারিশ করেছে সিপিডি।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)