শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ | শিক্ষা ও ক্যারিয়ার » জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে এমপিওভুক্তির পাঁয়তারা করছেন টিএন্ডটি মহিলা কলেজের অবৈধ অধ্যক্ষ ড. মহসীন!
জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে এমপিওভুক্তির পাঁয়তারা করছেন টিএন্ডটি মহিলা কলেজের অবৈধ অধ্যক্ষ ড. মহসীন!
ফিরোজ মাহমুদ -
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বৈধ নিবন্ধন নম্বর না থাকার পরও জালিয়াতি করে এমপিওভুক্তির সর্বোচ্চ পাঁয়তারা করছেন অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া টিএন্ডটি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. মহসীন হোসেন।
রাজধানীর মহাখালীস্থ এই কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রে জালিয়াতি করে ফরিদপুরের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক মোহাম্মদ আসাদুল হাসানের ইনডেক্স নম্বর (৩০০০৫২৪) নিজের নামে ব্যবহার করে নিজের এমপিওভুক্তির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে মোহাম্মদ আসাদুল হাসানের (৩০০০৫২৪) এই ইনডেক্স নম্বর নিজের নামে চালিয়ে দিচ্ছেন এবং নিজেকে রসায়ন শাস্ত্রের শিক্ষক হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টিএন্ডটি মহিলা কলেজের গর্ভিনিং বডির সভাপতি মো. আশরাফুল ইসলামকে ম্যানেজ করে এমপিওভুক্তি না পেয়েও কলেজ থেকে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে বেতন তুলে নিচ্ছেন। এমনকি এ বিষয়ে কয়েকবার কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতিকে বিষয়টা সুরাহা করার জন্য অভিযোগ দেয়ার পরও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
এমনকি, বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ পেতে কমপক্ষে ১৫ বছরের শিক্ষকতার এমপিওভুক্তির অভিজ্ঞতা থাকার নিয়ম থাকলেও ড. মহসীন হোসেন সেটি দেখাতেও ব্যর্থ হয়েছেন। এমনকি তিনি মোট ১২ বছরের যে অভিজ্ঞতা দেখিয়েছেন সেখানে ৫ বছর যে কলেজের অভিজ্ঞতাপত্র দিয়েছেন সেই প্রতিষ্ঠানটিও নন-এমপিওভুক্ত।
এমনকি বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগের পর ইনডেক্স নম্বর থেকে শুরু করে বৈধ কাগজপত্র জমা দিলে সাধারণত ২-৩ মাসের মধ্যে এমপিওভুক্ত হওয়ার রেজওয়াজ থাকলেও দীর্ঘ সাড়ে ৩ বছরেও অভিযুক্ত অধ্যক্ষ ড. মহসীনকে দু’দফা আবেদন বাতিল করে দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
এদিকে, জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ড. মহসীন হোসেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের
একটি পক্ষকে অবৈধ পন্থায় ম্যানেজ করে টাকার বিনিময়ে এই এমপিও বাগিয়ে নেয়ার সর্বোচ্চ অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া ইনডেক্স জালিয়াতি করা টিএন্ডটি মহলিা কলেজের অধ্যক্ষ ড. মহসীন হোসেনকে শনিবার রাত ৮ টা ৫০ মিনিটে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি নিউজের বিষয়ে কথা বলার জন্য এ প্রতিবেদক তার পরিচয় দিয়ে ক্ষুদেবার্তা (এসএমএস) পাঠালেও তিনি তার কোনো প্রতিউত্তর করেননি। এরপর তিনি নিজেই ফোন ব্যাক করে এ প্রতিবেদককে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করতে গিয়ে ফোনে এসব বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তিনি শুধু বলেন, আপনি আমার অফিসে আসলে সব কিছু বুঝিয়ে দিতে পারবো। তবে ইনডেক্স এবং অভিজজ্ঞা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাউশির নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। কিন্তু সাড়ে তিন বছরে কেন এমপিওভুক্তি পেলেন না, সে প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি ড. মহসীন।
এদিকে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী কলেজ পরিদর্শক -৩ আব্দুল কাদের বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া কাউকে যদি এর আগে দুইবার এমপিওভুক্তি না দেয়ার রেকর্ড থাকে, তাহলে নতুন করে তার আর কোনো সুযোগ থাকবে না। তবে আগামী বৈঠকে অভিযুক্ত ড. মহসীন হোসেনের নাম নেই বলেই নিশ্চত করেছেন আব্দুল কাদের।