বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | শিক্ষা ও ক্যারিয়ার » জাবি চালুর বিষয়ে জরুরি সিন্ডিকেট বসছে আজ
জাবি চালুর বিষয়ে জরুরি সিন্ডিকেট বসছে আজ
পক্ষকাল সংবাদ-
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অচলাবস্থা নিরসন ও বিশ্ববিদ্যালয়টির সকল শিক্ষা কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিন্ধান্ত নিতে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) জরুরি সিন্ডিকেট সভার আহ্বান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিস থেকে প্রেরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এমন তথ্য জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষের নির্দেশক্রমে জানানো যাচ্ছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রম চালুর জন্য বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪ টায় জরুরি সিন্ডিকেট সভার আহ্বান করা হয়েছে। এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে হল খোলাসহ একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সচলের দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের কাছে স্মারকলিপি দেয় শাখা ছাত্রলীগ। তবে প্রশাসন কর্তৃক এ জরুরি সিন্ডিকেট আহ্বানের আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ক্যাম্পাস সচলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. জুয়েল রানা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্যের হাতে স্মারকলিপি দেওয়ার পরই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট। ৮ ডিসেম্বর শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু হবে। ৬ ও ৭ তারিখ থেকে শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারবে।
এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেট সভা হওয়ার আগে আমি আনুষ্ঠানিক কিছু বলতে পারি না। তবে কেউ কিছু লিখে থাকলে সেটা তার বিষয়।’
ছাত্রলীগ সভাপতি জুয়েল রানা বলেন, ‘আমরা ওইসব তারিখে হল ও শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার দাবি জানিয়েছি। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। তাই আমি ওই স্ট্যাটাস দিয়েছি। তবে আমরা সিন্ডিকেট সিদ্ধান্তের ওপরই আস্থা রাখতে চাই।’
জাবি শাখা ছাত্রলীগের স্মারকলিপিতে বলা হয়, দীর্ঘদিন যাবত বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থার জন্য নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হয়েছে। তাই অনতিবিলম্বে শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেওয়াসহ পরীক্ষা ও শিক্ষা কার্যক্রম খুব দ্রুত কার্যকর করতে হবে। এতে আরো বলা হয়, আন্দোলন একটি গণতান্ত্রিক অধিকার কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় গান-বাজনা করা যাবে না। এ ছাড়া একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন তালাবদ্ধ রাখা যাবে না। একই সঙ্গে চলমান আন্দোলনে যেসকল জামাত-শিবির নেতাকর্মীরা জড়িত রয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রীয় আইনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এদিকে বুধবার দুপুর ১২টায় উপাচার্যের অপসারণসহ তিন দফা দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাংশ। ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ এর পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। তিন দফা দাবিগুলো হল- সচল ক্যাম্পাসে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে অবিলম্বে আবাসিক হল খুলে দেওয়া, আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগ সদস্যদের ও হামলায় মদদদাতাদের শাস্তির ব্যবস্থা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থিতিশীল পরিবেশের স্বার্থে উপাচার্যকে অপসারণ করা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার উপাচার্যের দুর্নীতির খতিয়ান (তথ্য) প্রকাশ করার কথা ছিল। অনিবার্য কারণবশত আমাদের এই প্রকাশনা কর্মসূচিটি পিছিয়ে আগামী ১০ ডিসেম্বর করা হয়েছে।