বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » বিএনপির আইনজীবীদের অবস্থান, আ’লীগপন্থীদের বিক্ষোভ
বিএনপির আইনজীবীদের অবস্থান, আ’লীগপন্থীদের বিক্ষোভ
পক্ষকাল সংবাদ-
খালেদা জিয়ার আরো কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাকি থাকার কারণ দেখিয়ে মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। তাই আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে অবশ্যই মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে ১২ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার জামিনের আপিল শুনানি হবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এ ঘটনায় আদালতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়েছে আদালতে।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের আপিল শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ সংক্রান্ত শুনানি শুরু হয়। শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, খালেদা জিয়ার আরও কিছু স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা বাকি আছে। এ জন্য দুই সপ্তাহ সময় প্রয়োজন। এরপর আদালত এক সপ্তাহ সময় দিয়ে ১২ ডিসেম্বর নতুন দিন নির্ধারণ করেন। নতুন তারিখ নির্ধারণের পরই আদালতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালতেই অবস্থান নেন এবং সেখানে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতিদের নেতৃত্বে বিচারকরা এজলাস ত্যাগ করেন। এদিকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এজলাস ত্যাগ করার সময় আওয়ামী আইনজীবীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে থাকেন। সাথে তাদের ‘জঙ্গিদের আস্তানা ভেঙ্গে দেও, গুঁড়িয়ে দাও’ স্লোগানও দিতে শোনা যায়। এ নিয়ে আদালত প্রাঙ্গনে বেশ উত্তাপ ছড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত বছর ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে সাত বছর কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে জামিনের আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট গত ৩১ জুলাই জামিনের আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন। এই খারিজের রায়ের বিরুদ্ধে গত ১৪ নভেম্বর আপিল করেন খালেদা জিয়া। এই আবেদনের ওপর গত ২৮ নভেম্বর আপিল বিভাগে শুনানি হয়। সুপ্রিম কোর্ট ও নিম্ন আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এখন ১৭টি মামলা বিচারাধীন। এ পর্যন্ত দুটি মামলায় (জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা) তাঁর ১৭ বছর কারাদণ্ড হয়েছে। এর মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর সাজার বিরুদ্ধে করা আপিল আপিল বিভাগে এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছর সাজার বিরুদ্ধে করা আপিল হাইকোর্টে বিচারাধীন। ওই দুই মামলায় জামিন পেলেই মুক্তি পাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন।