রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » » কার্ল মার্ক্স কে সাথে নিয়েই সাধারন ধর্মঘটে ফ্রান্স
কার্ল মার্ক্স কে সাথে নিয়েই সাধারন ধর্মঘটে ফ্রান্স
পক্ষকাল ডেস্ক, প্যারিস , ৮ ই ডিসেম্বর :ফ্রান্স জুড়ে সর্বাত্তক ধর্মঘট চলছে , দেশের নয়া উদরবাদ অর্থনীতির প্রভাব সর্বত্র । দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের ঢালাও বেসরকারিকরন সহ ব্যাপক ছাটাই চলছে , সেই সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ফি বৃদ্ধি ঘটেছে । একদিকে শিক্ষা মহার্ঘ আরেকদিকে বৃহত্ পুজিপতিদের ব্যাপক ট্যাক্স ছাড় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে দেশ জুড়ে । বেশ কয়েক মাস ধরেই বিক্ষোভ আন্দোলন চলছিল ইয়েলো ভেস্ট মুভমেণ্ট এর উদ্যোগে ।
ফ্রান্সের সংসদে মেক্রন সরকার কিছু বিল উত্থাপন করেছে যাতে শ্রমিক দের কাজ হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে , সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে সরকার যে ভর্তুকি দিত তাও তুলে নেওয়ার প্রস্তাব এসেছে । এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে দেশ জুড়ে , সে দেশের কম্যুনিস্ট পার্টির নেতৃত্তে দেশের বৃহত্ ট্রেড ইউনিয়ন সিজিটি ধর্মঘটের ডাক দেয় গত ৫ ই ডিসেম্বর , ধর্মঘটের সমর্থনে রাস্তায় দেশের মানুষ । ধর্মঘট নিয়ে যারা এতদিন বামপন্থীদের কটাক্ষ করতেন তারাও নামেন রাস্তায় । দেশের শিক্ষক সংগঠন এই ধর্মঘট কে সমর্থন জানিয়েছে প্রায় ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘটে বেহাল দেশ । দেশের ট্রান্স ইউরোপ রেল পরিষেবা সম্পুর্ন রূপে বন্ধ । দেশের কারখানর চিমনীর উপর লালঝাণ্ডা উড়ছে । বৈষম্যের বিরুদ্ধে স্লোগান সহ বড় বড় ফ্লেক্স কারখানর গেটে ঝুলছে , কারখানার গেটে পিকেট করেছে শ্রমিকরা , অভূতপূর্ব ধর্মঘটে সামিল হয়েছে দেশের মানুষ ।
রাজনীতিক মহলের মতে এই ধর্মঘট যেন পেরী কম্যুন কে মনে করাচ্ছে দফায় দফায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে বহুজাতিক সংস্থার অফিসে হামলার খবর আসছে । ফ্রান্সের রাজপথ যেন যুদ্ধক্ষেত্র জনগণ যেন যুদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশের নয়া উদরবাদি অর্থনীতির বিরুদ্ধে । দেশের বামপন্থী জোটের নেতা মেলেঞ্চন ঘোষণা করেছে এই ধর্মঘট এক হুশিয়ারি যদি সরকার জন বিরোধী অর্থনীতি থেকে সরে না আসে তাহলে অনির্দিষ্টকালীন ধর্মঘটের পথে যাবে দেশের মানুষ । পুলিশ দমনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন পুলিশ ও চাকুরিজীবি তাদের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে হলে এই আন্দোলন কে তাদের সমর্থনের আর্জি জানিয়েছেন ।
ফ্রান্সের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় সারা বিশ্বেই এই অর্থনীতির প্রভাবে মানুষ দিশেহারা , তার বিরুদ্ধেই বিক্ষোভ চলছে । বিক্ষোভের ফলে কোনও কোনও দেশে সরকার পর্যন্ত ইস্তফা দিয়েছে । ফ্রান্সের ঘটনা কী সেই পথেই অগ্রসর হচ্ছে উঠছে প্রশ্ন ।