শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Daily Pokkhokal
সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » বিশ্ব সংবাদ » রাওয়াত নয়, ভারতের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ হচ্ছেন লে. জেনারেল নারাভান
প্রথম পাতা » বিশ্ব সংবাদ » রাওয়াত নয়, ভারতের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ হচ্ছেন লে. জেনারেল নারাভান
৩২৯ বার পঠিত
সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

রাওয়াত নয়, ভারতের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ হচ্ছেন লে. জেনারেল নারাভান

পক্ষকাল ডেস্ক_
সুবীর ভৌমিক,

---

ভারতীয় সেনাবাহিনীর বর্তমান উপ-প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভান ভারতের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স স্টাফের দায়িত্ব পেতে পারেন।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ হতে পারেন মর্মে মিডিয়াতে যে ধারণা করা হয়েছিল, সেটা না হয়ে নারাভান বরং জোরালো অবস্থান থেকে ডাবল পদোন্নতি পেতে পারেন।
রাওয়াতকে তার পূর্বসূরী জেনারেল দলবির সিং সুহাগের মতো দেশের বাইরে রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাঠানো হতে পারে। দলবির সিং বর্তমানে কৌশলগত সেশেলস দ্বীপে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নারাভানকে বাছাইয়ের বিষয়টি এরই মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পর্যায়ে অনুমোদিত হয়েছে এবং বিষয়টি এখন রাজনৈতিক অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
দেশের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা স্থাপনার মধ্যে সিডিএস বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে যে বিতর্ক রয়েছে, সেটির বিষয়ে সাউথ এশিয়ান মনিটর অবগত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলতি গ্রীষ্মে ক্ষমতায় ফিরে আসার পরপরই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, ২০০১ সালে মন্ত্রীরা ভারতের সশস্ত্র বাহিনীগুলোর মধ্যে সমন্বয় আরও বাড়ানোর জন্য এই পদ সৃষ্টির যে সুপারিশ করেছিলেন, তার সরকার সেটা বাস্তবায়ন করবে।
সিডিএস বাছাইয়ের বিষয়টি চূড়ান্ত করার জন্য জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনসিএ) অজিত দোভালের উদ্যোগে যে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠিত হয়, সেই কমিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করে, যেটা রাওয়াতের বিরুদ্ধে এবং নারাভানের পক্ষে গেছে:
“সমন্বয় ও ঐক্যমত গঠনের জন্য এই পদের কাজের যে প্রকৃতি এবং এর জন্য যে দক্ষতা প্রয়োজন, সেখানে এটা প্রত্যাশিত যে, তিন বাহিনীর তিন-তারকা, সি-ইন-সি পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে গভীর বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই পদের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিকে বেছে নিতে হবে।
“প্রথমবারের জন্য না হলেও ভবিষ্যতে এই পদে নিয়োগের জন্য এইচকিউ আইডিএসে কাজের অভিজ্ঞতাকে পূর্বশর্ত হিসেবে দেখা হবে। বাছাই হতে হবে সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে, এবং শুধুমাত্র জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে হওয়া যাবে না।
“সীমিত আবাসিক মেয়াদের কারণে কোন বাহিনী প্রধানকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিডিএসের পর্যায়ে উন্নীত করার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। তাছাড়া কোন একক বাহিনীর প্রধানকে হঠাৎ করে তিন বাহিনীর কর্তৃত্বের জায়গায় নিয়ে আসার কিছু সমস্যাও রয়েছে”।
“এই পদটি তিন বাহিনীর জন্যই উন্মুক্ত রাখতে হবে এবং এখানে কোন একক বাহিনীর আধিপত্য থাকা যাবে না। বিগত দুই দশকের মধ্যে এইচকিউ, ইন্টিগ্রেটেড ডিফেন্স স্টাফ (আইডিএস) যথেষ্ঠ পরিপক্ক হয়েছে এবং এখন একজন সিডিএস এবং সম্পূর্ণ কর্মক্ষম একটা প্ল্যাটফর্ম দিতে তারা সক্ষম, যেটার স্ট্যান্ডার্ড হবে বাহিনী প্রধানদের পর্যায়ের”।
এই পদের জন্য তিন বছর মেয়াদের সুপারিশ করা হয়েছে (তবে কোন বাহিনী প্রধানকে সিডিএস করা হলে তার মেয়াদ হবে কম) এবং বাহিনী প্রধানের চেয়ে তার অবসরের সময়সীমাও হবে বেশি যাতে কাজটা তিনি অব্যাহত রাখতে পারেন।
“তবে, কাজের নিয়মে সংশোধনী আনা হয়েছে এবং এটা হলো: “এখন থেকে ভারতের প্রতিরক্ষার দায়িত্ব বর্তাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর উপর, প্রতিরক্ষা সচিবের উপর নয়”। এভাবে, সিডিএসের যেখানে বাহিনী প্রধানদের মতো ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা সচিবের চেয়ে উচ্চ পদাধিকার থাকবে, সেখানে উভয়েই তারা হবেন যথাক্রমে সামরিক ও বেসামরিক নিরাপত্তা কাঠামোর প্রধান। উভয়েরই তাদের নিজস্ব চ্যানেলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে উপদেশ দেয়ার অধিকার ও সুযোগ থাকবে”।
সুপারিশ অনুযায়ী, সিডিএস প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা, আধুনিকায়ন এবং বাহিনীগুলোর পুনর্গঠনে একটা গতিশীল ভূমিকা রাখবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাকে পাঁচতারকা পদে উন্নীত করার যে আলোচনা হচ্ছে, ভারতের প্রেক্ষাপটে সেটা যদিও অপ্রাসঙ্গিক, তবে এটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ যাতে তাকে ‘উজ্জল সিআইএসসি’র মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রাখা না হয়।
বিশেষজ্ঞরা সিডিএসের যে সব ভূমিকা ঠিক করেছেন, তার কিছু নিম্নরূপ:
তার এএনসি (আন্দামান ও নিকোবর কমান্ড), সাইবার অ্যান্ড স্পেস এজেন্সি (বা কমান্ড, যখন সেটা আসবে) এবং স্পেশাল অপারেশান্স ডিভিশানের উপর আভিযানিক ও প্রশাসনিক কমাণ্ড থাকবে।
স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডের (এসএফসি) প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ থাকবে সিডিএসের কাছে, যার ‘আভিযানিক নিয়ন্ত্রণ’ রয়েছে উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের হাতে।
এনএসসিএসকে ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি তৈরিতে তিনি সহায়তা করবেন এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স স্ট্র্যাটেজি, ডিফেন্স প্ল্যানিং গাইডলাইন্স এবং ডিফেন্স মিনিস্টার’স অপারেশনাল ডিরেক্টিভস গঠনের দায়িত্বও থাকবে তার।
ভবিষ্যতের আভিযানিক সম্ভাব্য সিনারিও তৈরি, যাতে সক্ষমতা উন্নয়ন পরিকল্পনাকে পরিচালিত করা যায়।
লং টার্ম ইন্টিগ্রেটেড প্রসপেক্টিভ প্ল্যান (এলটিআইপিপি), সার্ভিসেস ক্যাপিটাল অ্যাকুইজিশান প্ল্যান (নির্দেশনা অনুয়ায়ী ৫ বা ৭ বছর) এবং টেকনোলজি প্রসপেক্টিভ অ্যান্ড ক্যাপাবিলিটি রোডম্যাপ (টিপিসিআর) প্রণয়ন।
ডিআরডিও’র লং টার্ম টেকনোলিজ প্রসপেক্টিভ প্ল্যান (এলটিটিপিপি) প্রণয়নের জন্য তাদের সাথে বিনিময়ের ক্ষেত্র তৈরি করা।
বিভিন্ন বিদ্যমান অথবা ভবিষ্যতের জন্য দরকারী অস্ত্র সিস্টেমের উন্নয়নের জন্য ‘প্রযুক্তি স্ক্যান’ পরিচালনায় নির্দেশনা দেয়া।
প্রধান অস্ত্র সিস্টেম কেনার ক্ষেত্রে কৌশলগত পর্যালোচনা পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দেয়া।
আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায়) নীতিমালা প্রণয়ন এবং নির্দেশনা দেয়া।
আন্তঃবাহিনী এবং বাহিনীর অভ্যন্তরীণ অস্ত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের বিষয়টি দেখাশোনা করা এবং অনুমোদন দেয়া এবং এগুলোকে প্রতিরক্ষা বাজেটের সাথে সমন্বয় করা, যেখানে ভিন্নমতের বিষয়গুলোর সুরাহা করা হবে ডিপিসির মাধ্যমে।
যৌথ অভিযান এবং যৌথ প্রশিক্ষণ নীতিমালা তৈরি করা।
ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটি, তিন বাহিনীর জন্য এ ক্যাটেগরির প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট স্থাপন এবং সেগুলোর পরিচালনা, নীতি পরিকল্পনা ও বিদেশী ভাষা প্রশিক্ষণের দায়দায়িত্ব।
তিন বাহিনীর সাথে আউট অব এরিয়া কন্টিনজেন্সিসের (ওওএসি) পরিকল্পনা করা এবং যথাযথ যৌথ মহড়ার আয়োজন করা। ইন্টারন্যাশনাল এইচএডিআরের সহায়তার জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
তিন বাহিনীর লজিস্টিক্স অবকাঠামো গঠন ও প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা, তিন বাহিনীর সরঞ্জামের কোডিকরণ এবং স্ট্যান্ডার্ডাইজ করা, ডিআরডিও ও বেসরকারী শিল্পে উদ্ভাবন ও আর অ্যান্ড ডি-কে সহায়তা করা। নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্প গড়তে সহায়তা করা।
সিডিএসকে সম্প্রতি গঠিত ডিফেন্স প্ল্যানিং কমিটিতে (ডিপিসি) অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যেটার প্রধান হলেন এনএসএ, যিনি ওই কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো তুলে ধরেন।
লে. জেনারেল নারাভান যদি শেষ পর্যন্ত প্রথম সিডিএস হিসেবে দায়িত্ব নেন, তাহলে নর্দার্ন আর্মি কমান্ডার লে. জেনারেল রনবীর সিং পরবর্তী সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পেতে পারেন।
সিং বর্তমানে কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের সাথে নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতির বিষয়টি দেখাশোনা করছেন।
শীর্ষ সামরিক সূত্র জানিয়েছে, ‘মেধাবি জেনারেল’ হিসেবে নারাভানের যে খ্যাতি রয়েছে, এবং চীনের ব্যাপারে বিশেষ করে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে তার যে জ্ঞান, সেটা শীর্ষ পদে বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।
মিয়ানমারে যখন তাকে ডিফেন্স এটাশে হিসেবে পাঠানো হয়েছিল, তখন চীনকে গভীরভাবে দেখেছেন তিনি এবং এরপর ইস্টার্ন আর্মি কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
সুত্র সাউথ এশিয়ান মনিটর



এ পাতার আরও খবর

নানা আয়োজনে নববর্ষ বরণের প্রস্তুতি নানা আয়োজনে নববর্ষ বরণের প্রস্তুতি
রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত
পুতিনের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যের পারমাণবিক প্রতিরোধকে জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সুনাক পুতিনের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যের পারমাণবিক প্রতিরোধকে জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সুনাক
মস্কোর কনসার্ট হলে হামলায় আদালতে  তিনজন সন্দেহভাজন দোষী সাব্যস্ত মস্কোর কনসার্ট হলে হামলায় আদালতে তিনজন সন্দেহভাজন দোষী সাব্যস্ত
কনসার্ট হল গণহত্যার সন্দেহভাজনদের আদালতে হাজির, মৃতের সংখ্যা বাড়ছে কনসার্ট হল গণহত্যার সন্দেহভাজনদের আদালতে হাজির, মৃতের সংখ্যা বাড়ছে
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ‘চীনা হস্তক্ষেপ “নিয়ে নিষেধাজ্ঞার দিকে নজর দেবে যুক্তরাজ্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ‘চীনা হস্তক্ষেপ “নিয়ে নিষেধাজ্ঞার দিকে নজর দেবে যুক্তরাজ্য
মস্কো হামলার পর ইসলামিক স্টেট নিয়ে যুক্তরাজ্যের ‘একেবারে’ উদ্বিগ্ন হওয়া উচিতঃ হান্ট মস্কো হামলার পর ইসলামিক স্টেট নিয়ে যুক্তরাজ্যের ‘একেবারে’ উদ্বিগ্ন হওয়া উচিতঃ হান্ট
ন্যাটোর মিত্র রাশিয়ার সঙ্গে ‘সরাসরি যুদ্ধ’ বাধাগ্রস্ত করার জন্য মর্মান্তিক সতর্কতা জারি করেছে ন্যাটোর মিত্র রাশিয়ার সঙ্গে ‘সরাসরি যুদ্ধ’ বাধাগ্রস্ত করার জন্য মর্মান্তিক সতর্কতা জারি করেছে
চীনের  গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সোমবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে ব্রিটেন চীনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সোমবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে ব্রিটেন
রমজানে হামলা সহিংসতায় ইন্ধন জোগাচ্ছে রমজানে হামলা সহিংসতায় ইন্ধন জোগাচ্ছে

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)