জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ২ সিটিতে ভোট
পক্ষকাল সংবাদ-
ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন আগামী জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে আয়োজনের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হবে। এর আগে জানুয়ারির মাঝামাঝি দুই সিটির নির্বাচন আয়োজনের কথা জানিয়েছিল ইসি।
১১ ডিসেম্বর, বুধবার কমিশন সভা করবে ইসি। তবে এই সভায় এ বিষয়ে এজেন্ডা না থাকলেও পরবর্তী বৈঠকে নির্বাচনের তফসিল ও ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২৩, ২৬ ও ৩০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ ধরে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। এজন্য ৪০ থেকে ৪৫ দিন আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। বিদ্যমান ভোটার তালিকা দিয়েই ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ভোট করা হবে।
এ বিষয়ে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, ‘ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আগামী মাসের শেষ সপ্তাহে করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এখনো দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়নি। কমিশন বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। ১১ ডিসেম্বর কমিশন সভার পরবর্তী সভায় দুই সিটির তফসিল চূড়ান্ত হবে। দুই সিটির নির্বাচন ইভিএম’এ অনুষ্ঠিত হবে।’
জানা গেছে, মূলত সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়ার জন্য ভোটের সময় কিছুটা পেছানো হয়েছে। কারণ ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পরিচালনায় সহায়তা করবে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত টেকনিক্যাল টিম।
প্রসঙ্গগত, সম্প্রতি দুই সিটির সম্প্রসারিত ৩৬টি ওয়ার্ডের ৪৮ জন (সংরক্ষিতসহ) কাউন্সিলর জানুয়ারিতে নির্বাচন না করতে কমিশনে আবেদন করেছিলেন। এসব ওয়ার্ডে নির্বাচন করলে উচ্চ আদালতে যাবেন বলেও হুমকি দেন তারা।
এ বিষয়ে সিনিয়র সচিব জানান, নির্বাচন নিয়ে আইনি জটিলতা নেই। তাদের আবেদন কমিশনে উপস্থাপন করেছিলাম। কমিশন জানিয়েছে, পরিষদ ভেঙে গেলে নির্বাচিতদের মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে ঢাকার দুই সিটির ভোটের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর নির্বাচন উপযোগী হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৮ নভেম্বর নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের পর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম সভা হয় ওই বছরের ১৪ মে, দক্ষিণ সিটিতে ১৭ মে। এ হিসাবে ঢাকা উত্তরের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে, আর দক্ষিণে ১৬ মে। স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।