শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধার্পণ
মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধার্পণ
পক্ষকাল সংবাদ-
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মিরপুরের স্মৃতিসৌধে তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা আজ ১৪ ডিসেম্বর, শনিবার সকাল ৭টা ১ মিনিটে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর স্মৃতিসৌধে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। এসময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করে তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল।
এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে শহীদ সমাধিতে পুণরায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সেখানে উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সন্তানদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এরপর যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সন্তান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকা ছেড়ে গেলে তা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ সময় শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্মৃতিসৌধে নেমে আসে জনস্রোত।
১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের শেষদিকে বিজয় যখন দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বেছে বেছে পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে তুলে দেয় এদেশীয় দালাল রাজাকাররা। আলবদর, আলশামসের সদস্যরা তালিকা করে দেশের খ্যাতনামা দার্শনিক, চিকিৎসক, সাংবাদিক, লেখকসহ অন্যান্য পেশাজীবীদের এই দিনে ধরে নিয়ে যায়।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের পর এইসকল সূর্যসন্তানদের ক্ষতবিক্ষত মরদেহের খোঁজ পাওয়া যায় মিরপুর ও রায়েরবাজারের বধ্যভূমিতে। তাদের দেহে তখন নির্মম ও পৈশাচিক নির্যাতনের চিহ্ন!
তাদের কারো উপড়ে ফেলা ছিলো চোখ। কারো হাত-পা ছিলো বাঁধা, কারো কারো শরীর ছিলো গুলিবর্ষণে ঝাঁঝড়া। এদের অনেককেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করা হয়।