রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে চট্টগ্রামের জয়
পক্ষকাল সংবাদ-
রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচ হয়ে গেল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও কুমিল্লার ওয়ারিয়র্সের মধ্যের এই ম্যাচ ক্ষণে ক্ষণে রঙ পাল্টেছে, দর্শকের মনে জাগিয়েছে আশা-হতাশা ও রোমাঞ্চ! এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল কুমিল্লার অধিনায়ক দাসুন শানাকা ও ডেভিড মালান বোধহয় অসম্ভবকে সম্ভব করেই ছাড়বেন! শেষ পর্যন্ত তা হলো না। চট্টগ্রামের দেয়া ২৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ২২২ রানেই থেমে গেল কুমিল্লা। চট্টগ্রামের হয়ে চার উইকেট নিয়েছেন পেসার মেহেদী রানা।
১৩৯ রান তাড়া করতে হলে চাই উড়ন্ত সূচনা। কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা তা দিতে পারেন নি দলকে। রাজাপক্ষে, সৌম্য ও সাব্বিরের পরপর অসফলতায় এক পর্যায়ে ৩২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল কুমিল্লা। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন ইয়াসির আলি ও ডেভিড মালান। দলীয় ৯০ রানে ইয়াসির ফিরলে উইকেট আসেন শানাকা। শুরু হয় তাদের তান্ডব। এসময় মনে হচ্ছিল কুমিল্লা জিতেও জেতে পারে। তবে ৩৮ বলে ৮৪ রান করে মালান ফেরার দুই ওভার পর ২১ বলে ৩৭ করা শানাকাও ফিরে যান। ব্যস! রূপকথা আর লিখতে পারল না কুমিল্লা। শেষে আবু হায়দার রনির ১০ বলে ২৮ রানের ইনিংস শুধু আফসোসই বাড়িয়েছে।
এর আগে, টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো না হলেও ওয়াল্টনের রুদ্র ব্যাটিংয়ে ২০০ রানের কোটা পেরিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। বিশ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে চট্টগ্রাম তুলেছে ২৩৮রান। চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানদের মূল তোপ গেছে কুমিল্লার সৌম্যের ওপর দিয়ে। তিন ওভার করে সৌম্য দিয়েছেন ৪৪ রান। এছাড়াও, উদার হস্তে রান দিয়েছেন কুমিল্লার প্রায় সব বোলারই। তাদের এই উদারতায় হয়েছে একটি রেকর্ডও, এবারের বিপিএলের সর্বোচ্চ স্কোর এখন চট্টগ্রামের।
আগের ম্যাচে ফিফটি করা লেন্ডল সিমন্স আজ দ্রুত ফিরে গেলেও ঝড় তোলেন ফার্নান্ডো ও ইমরুল। দুজনে মিলে দশ ওভারেই তুলে ফেলেন ১০৬ রান। ব্যক্তিগত ৪৭ রানে ফার্নান্ডো ও ৬২ রানে ইমরুল ফিরে গেলে কিছুটা শ্লথ হয় রানের গতি। তবে দ্রুতই পরিস্থিতি সামাল দেন ওয়াল্টন ও নুরুল হাসান। ওয়াল্টন করেন ২৭ বলে ৭১ , নুরুল যোগ্যসংগত দিতে করেন ১৫ বলে ২৯। এতেই এবারের বিপিএলের সর্বোচ স্কোর গড়েছে চট্টগ্রাম।