নাশকতাকারিদের সাথে সংলাপ না
পক্ষকাল প্রতিবেদকঃ দেশে বেশি দিন এই নাশকতা চলতে দেওয়া যায় না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।অবরোধে সহিংসতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করেছেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
শুক্রবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত বলেন, “দুই/চারটা ককটেল মেরে, কিছু মানুষকে হত্যা করে একটি নির্বাচিত সরকারকে হটানো যায় না। নাশকতাবাদী ও সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো দিনই সংলাপ হবে না।”বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ৫ জানুয়ারি লাগাতার অবরোধের ডাক দেওয়ার পর প্রতিদিনই গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও বোমাবাজি হচ্ছে। গাড়িতে দেওয়া আগুন ও পেট্রোল বোমায় অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন।আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিএনপির এই আন্দোলন থেমে যেবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
তিনি বলেন, “বিএনপির এ আন্দোলন শুধু ব্যর্থ হবে না, শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে বিএনপর এ আন্দোলন আপনা-আপনি স্তিমিত হয়ে যাবে।”
রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে বঙ্গবন্ধু একাডমি আয়োজিত ‘চলমান রাজনীতি বিষয়ে আলোচনা’ শীর্ষক সভায় বক্তব্য দেন সুরঞ্জিত।
বিজিবি মহাপরিচালক বোমাবাজি ঠেকাতে অস্ত্র ব্যবহারের যে কথা বলেছেন তাতে দেশবাসীর সমর্থন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা।
তিনি বলেন, “বিজিবি প্রধানের বক্তব্যে দেশবাসী সমর্থন দিয়েছে। মানুষের প্রাণ রক্ষা করা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তব্য। এজন্য তারা গুলি করতে পারে।”
বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচাতে কোনো বোমাবাজকে গুলি করতে বিজিবি কুণ্ঠিত হবে না। বিজিবির সবই ‘লিথাল’ (প্রাণঘাতি) অস্ত্র। বিজিবি সদস্যরা কাউকে গুলি করবে না। তবে কেউ আক্রমণ করলে জীবন বাঁচাতে গুলি করতে পারে।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, সাম্যবাদী দলের একাংশের পলিট ব্যুরোর সদস্য হারুন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু, বঙ্গবন্ধু একাডেমির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ বক্তব্য দেন।