রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » » বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বের দরবারে খলনায়ক বানাতে চেয়েছিল জিয়াউর রহমান - চুমকি এমপি
বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বের দরবারে খলনায়ক বানাতে চেয়েছিল জিয়াউর রহমান - চুমকি এমপি
তৈয়বুর রহমান (গাজীপুর) প্রতিনিধি ঃ আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা মেহের আফরোজ চুমকি এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বের দরবারে খলনায়ক বানাতে চেয়েছিল জিয়াউর রহমান। মূল ইতিহাসকে বাদ দিয়ে ইতিহাসের পাতায় পাতায় বিকৃতি করেছে জিয়াউর রহমান তার দোসররা। যারা স্বাধীনতার বিরোধী ছিল তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও তার নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে, সেই ইতিহাস মুছে ফেলছে চেয়েছিল। স্বাধীনতার পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে বঙ্গবন্ধু তার যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে যখন উন্নয়নের পথে হাঁটছিল। স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মাথায় ৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুসহ ১৬ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল জিয়াউর রহমান তার দোসররা। সেই দিন থেকে বাংলায় কালো অধ্যায় রচিত হয়। সেই দিনের পর থেকে কেউ বঙ্গবন্ধুর নাম মুখে আনতে পারতো না, ৭ই মার্চের ভাষণ কেউ শোনতে পারতো না। স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি, জিয়াউর রহমান ও তার দোসররা মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর চরম নির্যাতন চালাতে থাকে। শুরু হয় ইতিহাসের পাতা থেকে স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধুর নাম ও তার অবদানের স্মৃতি মুছে ফেলার কাজ। আর ইতিহাস বিকৃতি করার পরোক্ষ-প্রত্যক্ষভাবে দায়িত্বে ছিলেন রাজাকার আর আলবদরদের লালন-পালনকারী জিয়াউর রহমান। গতকাল শনিবার দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদ ময়েজউদ্দিন অডিটোরিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি এসব কথা বলেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শিবলী সাদিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এইচ এ আবু বকর চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি পরিমল চন্দ্র ঘোষ, কালীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মিজানুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাকসুদ-উল আলম খান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শর্মিলা রোজারিও প্রমুখ।
এমপি মেহের আফরোজ চুমকি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ভালোবেসে জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। তিনি শ্রমিক, কৃষক ও দেশ প্রেমিক মানুষদের এক কাতারে এনে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সরকার মুজিববর্ষ উদযাপনের মাধ্যমে সারা বিশ্বকে জানাতে চাচ্ছেন যে, বঙ্গবন্ধু দেশের নিপীড়ন মানুষের নেতা ছিলেন। বিশ্বের যেখানে মানুষ-নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তাদের পাশে গিয়ে তিনি দাঁড়াতেন। আদর্শ ও কর্মে মুজিব শুধু বাংলার নয় তিনি সারাবিশ্বের নেতা ছিলেন। তিনি বেঁচে থাকলে দেশ অনেক আগেই উন্নয়নের শিখরে পৌছে যেতো। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে জীবন মান উন্নয়ন করতে হবে। তাঁর আদর্শকে বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছিয়ে দিতে হবে।