সাংসদ আমানুর বিচার ও বহিস্কারের দাবিতে সমাবেশ
: আজ রোববার টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের “খান পরিবার” বিরোধীরা সাংসদ আমানুর রহমান খান (রানা) ও তার ভাইদের বিচারের দাবিতে সমাবেশ আহবান করেছে।অপরদিকে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কর্যালয়ে সকালে কোরানখানী ও সন্ধ্যায় মিলাত মাহফিলের আয়োজন করেছে। ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে শহরের কলেজ পাড়া এলাকার নিজ বাসার কাছ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর নিহত ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামী করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) দেওয়া হয়। গত বছর আগস্টে ফারুক আহমেদের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আনিসুল ইসলাম (রাজা) ও মোহাম্মদ আলী নামক দু’জনকে পুলিশ গ্রেপ্তাক করে। এরা দু’জন এ হত্যাকান্ডে টাঙ্গাইল-৩ আসনের সাংসদ আমানুর রহমান খান (রানা) এবং তার অপর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র সহিদুর রহমান খান (মুক্তি), ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান (কাকন) ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খান (বাপ্পা) জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে আদালতে জবানবন্দী দেন।
এর পর থেকে সাংসদ আমানুর ও তার ভাইয়েরা এলাকা ত্যাগ করেন। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য ঢাকা ও টাঙ্গাইলে পুলিশ একাধিক বার অভিযান পরিচালনা করে।
ফারুক আহমেদের স্বজন এবং আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের খান পরিবার বিরোধীরা “আওয়ামী সমর্থক পরিবার” ব্যানারে আজ রোববার শহরের নিরালা মোড়ে সমাবেশের আয়োজন করেছে। এ অংশের নেতা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জানান, পুলিশের তদন্তে ফারুক আহমেদ হত্যাকান্ডের সাথে সাংসদ আমানুর ও তার ভাইয়েরা জড়িত এর প্রমাণ এসে গেছে। তাই এদের আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন থেকে বহিস্কার ও বিচারের দাবিতে এ সমাবেশ আহবান করা হয়েছে।