শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ফাজিলপুরে যুবলীগ কর্মী মানিক হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া চার্জশীটের জন্য আটকে আছে
ফাজিলপুরে যুবলীগ কর্মী মানিক হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া চার্জশীটের জন্য আটকে আছে
পক্ষকাল প্রতিনিধি-
ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী রবিউল হক মানিক হত্যাকান্ডের ক্লু উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতার হলেও চার্জশীট জমা না দেয়ায় বিচার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছেনা। আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে আসামী মাজহারুল ইসলাম মামুন ও বাদশা। এদিকে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না পাওয়ায় চার্জশীট প্রদানে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আলোচিত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ফাজিলপুর কামু ভূঞা বাড়ীর মো: মোস্তফার ছেলে মামুন ও যুবলীগ রবিউল হক মানিক সম্পর্কে চাচাতো ভাই। রবিউল হকের বাবা নুরুল হকের কোন সন্তান না থাকায় তাকে দত্তক নেয়। বাবা মারা যাওয়ার পূর্বে সকল সম্পত্তি রবিউল হক ও তার মা রোসনে আরা বেগমের নামে লিখে দেন। পরে কিছু সম্পত্তি মামুনদের কাছে বিক্রি করে তারা। সম্পত্তি দখল নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে মানিক বিষয়টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ও সমাজপতি তৌহিদুল ইসলামকে অবহিত করেন। বিগত বছরের জানুয়ারী মাসে তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে শালিসী বৈঠকে মামুনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এতে মামুনের পা ভেঙ্গে গেলে খুঁড়িয়ে চলাফেরা করে। এর জেরে মানিককে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।
গত ১০ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে ফাজিলপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে মামুন ও বাদশা। মানিক পশ্চিম ফাজিলপুর গ্রামের নুরুল হকের ছেলে। এ ঘটনায় ১২ অক্টোবর মানিকের মা রোসনে আরা বেগম বাদী হয়ে মামুন, মামুনের বাবা-মা ও সাইফুল ইসলামসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মামুনের বাবা মোস্তফাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বর্তমানে মোস্তফা জামিনে রয়েছে।
গত ৩ নভেম্বর বিকালে কসকা বাজারে অভিযান চালিয়ে সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে মাজহারুল ইসলাম মামুনকে গ্রেফতার করে তদন্তকারী কর্তকর্তা মো: ওমর হায়দার। পরে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা-বটি তৌহিদের মালিকের ডোবা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন সোমবার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম এমরানের আদালতে মামুনকে হাজির করে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে মামুন জানায়, ‘৫ মাস পূর্বে রবিউল হক মানিক তাকে মারধর করে। সম্পত্তি নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন মামুনসহ আরো দু’জন মিলে মানিককে পিছন থেকে কোপ দেয়। মানিক পড়ে গেলে তার গলায় উপর্যপুরি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।’
মামুনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ফরহাদনগর ইউনিয়নের লাতু মিয়ার ছেলে রাজু ওরপে বাদশা (১৬) কে গ্রেফতার করা হয়। বাদশা মোবাইল ফোনের লোভে পড়ে মানিক হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা আদালতে স্বীকার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বোগদাদিয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো: ওমর হায়দার ফেনীর সময় কে জানান, সম্পত্তি ও পারিবারিক বিরোধের জের ধরে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা ও আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না পাওয়ায় চার্জশীট প্রদানে বিলম্ব হচ্ছে।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আরএমও আবু তাহের পাটোয়ারী ফে