ভোটের মাঠে সক্রিয় সম্রাট!
পক্ষকাল সংবাদ-
মাঠে নেই সম্রাট,আছেন কারাগারে। তবুও যেন মাঠের সর্বত্রই পদচারণা রয়েছে সম্রাটের। যুবলীগ থেকে বহিস্কার হলেও নির্বাচনী মাঠে বিশাল কর্মী বাহিনী সম্রাটের অনুগত।
কারাগারে বসে সম্রাট যে নির্দেশনা দিচ্ছেন তা অক্ষরে-অক্ষরে পালন করছে তারই অনুগত কর্মীরা। আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সাবেক যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের অনুগত বাহিনী প্রকাশ্যেই কাজ করছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থীদের জন্য।
যদিও দক্ষিণের মেয়র প্রাথী ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের তার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে সে নির্দেশ উপেক্ষা করেই মাঠে সক্রিয় তারা।
ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিসহ নানা অপারধের অভিযোগে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে আটক করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘ দিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে নিজ এলাকায় আলাদা প্রভাব প্রতিপত্তি তৈরি করেছিল বহুল সমালোচিত-আলোচিত বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা সম্রাট। রাজনীতির মাঠে কর্মী সরবরাহ বা কর্মী সমাগমের ক্ষেত্রে নিজেকে আলাদা জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
তাই আসন্ন সিটি নির্বাচনেও ঘুরে ফিরে আসছে যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা সম্রাটের নাম। কারণ হিসেবে স্থানীয়রা বলছেন, তার সাথে যারা রাজনীতি করতো, নির্দেশনা মেনে চলতো সেসব নেতাকর্মীরাই এখনো রাজনীতির মাঠ গরম রেখেছে।
স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, আওয়ামী লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের প্রচারণায় তাদেরকে দেখাও যাচ্ছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি সম্রাটকে নিয়ে। কারাগারে থেকেও কি নির্বাচনের মাঠে প্রভাব রাখছেন তিনি?
সরেজমিনে দেখা গেছে, “আরমান হক বাবু” নাম নিয়ে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে সম্রাটের ছায়াতলে ছিলেন। আবার সম্রাট আটকের পর পর দলীয় পদ ঠিক রেখে নাম বদলে হলেন এমরান হক। এবার আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের ব্যানারে নিজের ছবি ছাপিয়ে ভোট চাইছেন।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, একেক সময়ে একেক নামধারী “এমরান হক’ বা ‘আরমান হক বাবু” অতীতে ছাত্র শিবির স্বাধীনতা বিরোধী রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে সম্রাটের ছায়াতলে যুক্ত হয়ে যুবলীগের রাজনীতি করছেন এই সমালোচিত এমরান।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকনকে নিয়ে যে সমালোচনা হয়েছে তা আর শুনতে চায় না ক্ষমতাসীনরা। তাই সব সমালোচনার উর্ধ্ব থাকতেই আওয়ামী লীগ দুই সিটিতে স্বচ্ছ ও ক্লিন ইমেজের প্রার্থী দিয়েছে।
ভোটের ময়দানে তাই শেখ ফজলে নূর তাপসের ইমেজ দিয়ে দলের জয়ের ধারা ধরে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। কোন বিতর্ককে যুক্ত করতে চায় টানা ক্ষমতায় থাকা উপমহাদেশের সবচেয়ে পুরাতন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ।