করোনা প্রতিরোধে প্রস্তুত ঢাকার ২ হাসপাতাল
পক্ষকাল সংবাদ-
চীনের উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই এ ভাইরাস প্রতিরোধ করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। এজন্য রাজধানীতে দুটি হাসপাতালকে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। যাতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়ামাত্রই তার দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়।
এছাড়াও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানারের পাশাপাশি অতিরিক্ত হ্যান্ড স্ক্যানার সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন সকালে সভা করে ওইদিনের কার্যক্রম নির্ধারণ করা হচ্ছে।
এদিকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় ঠিক করতে ২৬ জানুয়ারি, রবিবার এক জরুরী সভার আয়োজন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এ সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, কোনোভাবে ভাইরাসটি বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়লে বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। এজন্য আগামীকাল মঙ্গলবার আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে চীন ভ্রমণের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে। এছাড়াও করোনাভাইরাসটি প্রতিরোধে নৌ, স্থল ও বিমানবন্দরে স্ক্যানার বসানো হয়েছে বলেও এদিন জাতীয় সংসদকে অবগত করেন মন্ত্রী।
প্রস্তুতি সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, ‘ভাইরাসটি সম্পর্কে চীন প্রতিদিন সর্বশেষ তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অবহিত করে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সেই তথ্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সরবরাহ করে। এসব তথ্য সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ ও করণীয় নির্ধারণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ তথ্য পর্যালোচনা করে করণীয় নির্ধারণে প্রতিদিন সকালে সভা করা হচ্ছে।’
মহাপরিচালক আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে এ ভাইরাস আসার ঝুঁকি রয়েছে। তাই আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। ইতোমধ্যে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী পেলে চিকিৎসায় কোনো সমস্যা না হয়। এছাড়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনটি থার্মাল স্ক্যানারের একটি নষ্ট হয়ে পড়ায় অতিরিক্ত একাধিক হ্যান্ড স্ক্যানার পাঠানো হয়েছে।’
অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা আরো বলেন, ‘এখন পর্যন্ত শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে যাত্রীদের স্ক্যানার পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। দেশের সব স্থল ও সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। কিন্তু সমুদ্র ও স্থলবন্দরে এখনো স্ক্যানার বসানো হয়নি।’
তিনি আরো বলেন, ‘ভারতে আক্রান্তের বিষয়টি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সেখানে কোনো ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হলে স্থলবন্দরগুলোতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমরা আমাদের সক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করছি।’ এক্ষেত্রে দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।