বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » তাপসের ইশতেহারে ত্রিশ বছরের মহাপরিকল্পনা, পাঁচ রূপরেখা
তাপসের ইশতেহারে ত্রিশ বছরের মহাপরিকল্পনা, পাঁচ রূপরেখা
পক্ষকাল সংবাদ-
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এই হেভিওয়েট প্রার্থী ত্রিশ বছর মেয়াদী মহা-পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে অপরিকল্পিত ও দূষণে আক্রান্ত নগরীকে পুনরুজ্জীবিত করতে চান। তাই তিনি পাঁচটি রূপরেখার প্রতিশ্রুতিতে নির্বাচনী ইশতেহার সাজিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ঐতিহ্যে-সুন্দর-সচল-সুশাসিত-উন্নত ঢাকার পথে পথচলায় নতুন পথে যাত্রা শুরু করতে হবে। অনেক অবহেলা, গাফিলতিতে ঢাকা অপরিকল্পিত ও দূষণ আক্রান্ত নগরী হয়ে গেছে।’
তিনি জানান, মেয়র হওয়ার সুযোগ পেলে ঢাকাকে তিনি পুনরুজ্জীবিত করতে চান।
বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির ছোট ছেলে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বুধবার সকালে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।
নৌকার এই মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘ঢাকায় ক্রমবর্ধমান মানুষের চাপ, যুগের চাহিদা, মানুষের স্বপ্ন ও প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রয়েছে কিছু সমস্যা, তৈরি হয়েছে নতুন নতুন চাহিদা। উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি বিবেচনায় ঢাকা দক্ষিণের সম্ভাবনার দিগন্ত আজ অবারিত। সব সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করে এগিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ বর্তমান সরকার গ্রহণ করেছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে অগ্রসর হওয়া আমাদের জন্য কঠিন কিছু নয়। প্রত্যাশিত ঢাকার নবসূচনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়েছে।’
এসময় তিনি পাঁচটি রূপরেখায় তার প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন-
ঐতিহ্যের ঢাকা:
ভোটে মেয়র নির্বাচিত হলে ঐতিহ্যের ঢাকা ফিরিয়ে আনার কথা জানিয়ে তাপস বলেন, ‘চারশত বছরের পুরনো আমাদের এই ঢাকার রয়েছে নিজস্ব ইতিহাসের উজ্জ্বল ছবি, ঐতিহ্যের গভীর শেকড় ও প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব। পর্যটনের জন্যও হতে পারে অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র। এখানে ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদও অনন্য। সাংস্কৃতিক ধারায় রয়েছে ঈদুল ফিতর, ঈদুল আয্হা, পহেলা বৈশাখ, ঘুড়ি উৎসব, চৈত্র সংক্রান্তি-সহ অজস্র উৎসব।’
তিনি বলেন, ‘আমি র্নিবাচিত হলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকাকে ‘ঐতিহ্য প্রাঙ্গন’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সকলকে নিয়ে সমন্বিত প্রয়াসে যাদুঘর ও আর্ট গ্যালারি নির্মাণ ও প্রদর্শনীসহ নগরীর ঐতিহাসিক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ স্থাপনা সংরক্ষণে মহাপরিকল্পনা ও সুব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ করে ঢাকা-কে তার স্বকীয় গৌরবে সাজিয়ে তুলে ধরবো বিশ্ব দরবারে।’
সুন্দর ঢাকা:
সুন্দর ঢাকা গড়ে তোলার কথা জানিয়ে তাপস বলেন, ‘বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা দুই নদীর অববাহিকায় পত্তন হওয়া আমাদের এই ঢাকা, এমন শহর পৃথিবীতে বিরল! সুন্দর ঢাকা গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক উদ্যান নির্মাণ, সবুজায়ন, ছাদবাগানে উৎসাহ, পরিবেশ বান্ধব স্থাপনা বৃদ্ধি, বায়ু ও শব্দ দূষণ রোধ করাসহ শরীর ও চিত্তবিনোদনের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ, শরীর চর্চা কেন্দ্র এবং নারী-শিশু ও প্রবীণদের জন্যে হাঁটার উন্মুক্ত স্থান, আধুনিক মানের কমিউনিটি সেন্টারের ব্যবস্থা। সর্বসাধারনের সুবিধার্থে সাধারণ ও ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারের ব্যবস্থা। দুঃস্থ-অসহায়দের কল্যাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও বস্তি উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনীর অন্তর্ভূক্ত করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্মাণাধীন পরিচ্ছন্ন কর্মী নিবাসগুলোর নির্মাণকাজ দ্রুত সম্পন্ন, নতুন পরিচ্ছন্ন কর্মী নিবাস নির্মাণ ও তাদের নাগরিক সুবিধা প্রাপ্তির ব্যবস্থা করা হবে। খালগুলোর অবৈধ দখল উচ্ছেদ-খনন ও সৌন্দর্যবর্ধন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় সংখ্যক নর্দমা নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ, ও জলাধার সংরক্ষণ এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দৈনন্দিন ভিত্তিতে সড়কের উপর উন্মুক্ত আবর্জনার স্তুপ অপসারণ করা হবে। সড়ক থাকবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকাটিকে সবুজায়ন, শিশুপার্ক, থিয়েটার হলসহ পরিকল্পিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। র্দীঘমেয়াদি পরিকল্পনায় বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যার পাড় ঘিরে বনায়ন, বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনসহ ব্যাপক সৌন্দর্য বর্ধনের মাধ্যেমে সুন্দর ঢাকা গড়ে তুলবো।’
সচল ঢাকা:
যানজট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপের কথা জানিয়ে তাপস বলেন, ‘যানজটের কারণে রাস্তায় চলাচল হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানো ও ফিরে আসতে নিরন্তর সংগ্রাম করতে হয়, বিশেষ করে কর্মজীবী নারীদের বিড়ম্বনা অপরিসীম। গণপরিবহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও সুব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কিছু রাস্তায় দ্রুত গতির যানবাহন, কিছু রাস্তায় ধীর গতির যানবাহন, আবার কিছু রাস্তায় শুধু মানুষ হাঁটার ব্যবস্থা করবো। নদীর পাড়ে থাকবে সুপ্রস্ত রাস্তা, যেখানে পায়ে হেঁটে চলা যাবে, চালানো যাবে সাইকেল, চলবে রিক্সা ও ঘোড়ার গাড়ি। দ্রুতগামী যানবাহনের জন্য থাকবে আলাদা পথ, থাকবে নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা। রাস্তা পারাপারের সুব্যবস্থাসহ নগর ঘুরে দেখার জন্য থাকবে ‘হপ অন হপ অফ’বাস সেবা। থাকবে প্রয়োজনীয় সড়ক বাতি ও উন্নত প্রক্ষালণ কক্ষ। হকারদের তথ্যভান্ডার গঠন করে তাদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ফুটপাত দখলমুক্ত করা হবে। এভাবে গড়ে তুলবো আমাদের সচল ঢাকা।’
সুশাসিত ঢাকা:
মাদক নির্মূল, জুয়া, কিশোর অপরাধসহ নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয়জনিত বিভিন্ন অপরাধ রোধসহ এলাকাভিত্তিক সুশাসিত ঢাকা গড়ে তোলার কথা জানিয়ে তাপস বলেন, ‘ঢাকায় একসময় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ছিল। মাদক নির্মূল, জুয়া, কিশোর অপরাধসহ নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয়জনিত বিভিন্ন অপরাধ রোধসহ এলাকাভিত্তিক সুশাসন প্রতিষ্ঠায় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা কার্যকর ও সংশোধন কেন্দ্র নির্মাণ করবো। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন হবে বাংলাদেশে স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথম দুর্নীতি মুক্ত সংস্থা। বছরের ৩৬৫ দিন, সপ্তাহের ৭ দিন, ২৪ ঘন্টা নাগরিক সেবা প্রদানের জন্য খোলা থাকবে। মশকের প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস, মশক নিধনে দৈনন্দিন ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রয়োজনীয় সংখ্যক হাসপাতাল-ডিসপেনসারি ও প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র্র স্থাপনসহ মাতৃসদন, পরিবার পরিকল্পনা, জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সংখ্যক কারিগরি-ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’
কোন ধরণের গৃহ কর বৃদ্ধি করা হবে না জানিয়ে তাপস বলেন, ‘গৃহকর বৃদ্ধি হবে না। হত-দরিদ্র সন্তানসন্ততির শিক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের শিক্ষা, বিনোদন ও চিকিৎসা সেবায় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন, অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করতে ফায়ার হাইড্রান্ট নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও পাড়া-মহল্লায় অগ্নি নির্বাপন গাড়ি প্রবেশের কার্যকর পদক্ষেপসহ প্রয়োজনে নিজস্ব দমকল বাহিনী গঠন করা হবে। বছরের একটি সময় নির্দিষ্ট করে ঢাকা’র উন্নয়ন ও সেবার সাথে জড়িত সংস্থার কাছে তাদের বাৎসরিক কাজের চাহিদাপত্র আহ্বান করা হবে। কর্পোরেশন কোন রাস্তা নির্মাণের পরে অন্তত তিন বছরের মধ্যে অন্য সংস্থা ঐ রাস্তা খনন করতে পারবে না। আইন, বিধি ও নীতিমালার কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে ঢাকা’র উন্নয়ন ও সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে সিটি কর্পোরেশনের নিকট সমন্বিতভাবে দায়বদ্ধ করা হবে।’
ওয়ান স্টপ সার্ভিস ডেস্ক স্থাপন করার কথা জানিয়ে নৌকার এই মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘সপ্তাহের ১ দিন নগরবাসী মেয়রের সাথে আলোচনার সুযোগ পাবেন। দায়িত্ব গ্রহণের ৯০ দিনের মধ্যেই মৌলিক সকল নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবো ইনশাআল্লাহ্।’
উন্নত ঢাকা:
উন্নত ঢাকা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনিত এই মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ এর ‘রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে উন্নত রাজধানী তথা উন্নত ঢাকা গড়ে তোলার বিকল্প নাই। অনেক সময় হয়তো পেরিয়ে গেছে; কিন্তু সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি। পাঁচ বছর মেয়াদী বিভিন্ন প্রকল্পসহ দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে ত্রিশ বছর মেয়াদী মহা-পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে নগরীর উন্নতি সাধন, ইমারত নির্মাণ, ভূমি ব্যবস্থাপনা, ভূমি অধিগ্রহণ, নগর পরিকল্পনা প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।’
নতুন ওয়ার্ডগুলোতে সুযোগ বাড়াতে প্রকল্প হাতে নেওয়ার কথা জানিয়ে নৌকার এই প্রার্থী বলেন, ‘নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের জনগণের আধুনিক সুযোগ-সুবিধার লক্ষ্যে নতুন প্রকল্প গ্রহণসহ প্রত্যেকটি সড়ক ও নর্দমার উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মান নিরূপণ করে অন্তত দশ বছর স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা হবে। ক্রমবর্দ্ধমান জনসংখ্যার চাপ বিবেচনায় নিয়ে জমির যুক্তিসঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য সুব্যবস্থাসহ ছাত্র ও কর্মজীবী মহিলাদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক হোস্টেল গড়ে তোলা হবে।’
সকল সেবা অনলাইন ভিক্তিক করার কথা জানিয়ে তাপস বলেন, ‘জনগণকে প্রদেয় কর্পোরেশনের সকল সেবা যথা:- বাণিজ্য লাইসেন্স, জন্ম নিবন্ধনপত্র, প্রত্যয়নপত্র, গৃহকর, আনুষাঙ্গিক অন্যান্য কর সমূহ তথ্য প্রযুক্তিগত সেবার আওতায় আনা হবে। সকল ক্ষেত্রে অনলাইন সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে। ঘরে বসেই কর এবং নির্ধারিত ক্ষেত্রে ফি পরিশোধ সংক্রান্ত সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। কর্পোরেশন পরিচালনায় তথ্য প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাপনা প্রচলন করা এবং প্রতিটি ওয়ার্ডকে এর আওতাভুক্ত করা হবে।’
নাগরিক সেবায় ২৪ ঘন্টা হেল্প লাইন সেবা থাকবে জানিয়ে তাপস বলেন, ‘২৪ ঘন্টা হেল্পলাইন এবং নাগরিক সেবা ও সমস্যা, সমাধানে প্রয়োজনীয় তথ্যসমৃদ্ধ নগর অ্যাপ চালু করা হবে। সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ই-লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা। নগর ভবনে নিয়ন্ত্রণকক্ষ রেখে বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও ফ্রি ওয়াইফাই দেয় হবে। পর্যায়ক্রমে এসব বাস্তবায়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও কার্যসূচি গ্রহণ করা হবে। সর্বোপরি সিটি কর্পোরেশনের কার্যপরিধির আওতায় সততা, নিষ্ঠা, দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতার সাথে সমন্বিত প্রয়াসে আমাদের উন্নত ঢাকা গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ। আমাদের এই ঢাকা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির আলিঙ্গনে, নানা গোত্র-বর্ণের সাংস্কৃতিক গৌরবময়তা ও ঐতিহ্যে মন্ডিত ঢাকা। এই ঢাকাতে জন্মেছি, বড় হয়েছি, সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়েও স্বপ্ন দেখি এই ঢাকা-কে ঘিরে। ঢাকা বলতে আমার বেড়ে ওঠা এই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকাকেই বুঝি। ব্যথাতুর হীম বুকে তাকিয়ে দেখি, এখানেই পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কালো রাতে স্বপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সাথে হারিয়েছি আমার বাবা-মাকে। কিন্তু বিগত দিনে এখানেই পেয়েছি স্নেহ-ভালবাসা-বন্ধন। এই ভালবাসাকে পুঁজি করেই, স্বপ্নের উন্নত ঢাকা’র পথ চলায় আপনার আস্থা ও সমর্থন-ই আমার পাথেয়।’
শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে সকলের সমর্থনে চেষ্টা করেছি এক এক করে প্রত্যেকটি সমস্যা সমাধান করতে। কিন্তু রাজধানী ঢাকায় সংসদ সদস্য হিসেবে নাগরিকদের মৌলিক সুবিধা ও উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে গিয়ে সিটি কর্পোরেশনের উপর অনেকাংশে র্নিভর করতে হয়। তাই এই ঢাকাবাসীর জন্য বৃহৎ পরিসরে কাজ করার এবং তাদের মৌলিক নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার তাগিদ বোধ করেছি।’