ন্যান্সিকে শুভেচ্ছা জানালেন ফেরদৌস ওয়াহিদ
পক্ষকাল প্রতিবেদক: নাজমুন মুনিরা তখনও ন্যান্সি হয়ে ওঠেননি, তবে সম্ভাবনা নিয়ে বেড়ে উঠছেন। থাকেন নেত্রকোনায়। কোনো এক সন্ধ্যায় ঘরোয়া গানের আসরে আসেন তার মামা নজরুল ইসলাম। তিনি একা আসেননি, সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন গানে ও ব্যক্তিত্বে চিরতরুণ শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদকে। তিনি ন্যান্সির গান শুনলেন, মুগ্ধ হলেন, প্রশংসা করলেন। ন্যান্সির মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদও করলেন।
এটুকুই নয় কেবল, ঢাকায় ফিরে ছেলে হাবিবের কাছেও বিস্তর প্রশংসা করলেন ন্যান্সির। ‘ভালোবাসবো বাসবোরে..’ গান জনপ্রিয়তা পাওয়ার কিছুদিন আগের ঘটনা। কোরাসের জন্য নতুন মুখ দরকার। ন্যান্সিকে ডেকে পাঠালেন হাবিব। ন্যান্সি ঢাকায় এলেন। কণ্ঠ দিলেন।
সেই থেকে শুরু। নেত্রকোনার নাজমুন মুনিরা ‘ন্যান্সি’ হয়ে ওঠার পেছনে ফেরদৌস ওয়াহিদের অবদান অনেক। ন্যান্সিও বললেন সে কথা, ‘যে কারণে আজ মানুষ আমার নাম জানে, গান পছন্দ করে; তার পেছনে সবসময় ছিলেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। গানে তিনিই আমার অভিভাবক। ফেরদৌস ওয়াহিদ সহযোগিতা না করলে হয়তো নেত্রকোনায় থেকে যেতাম, পড়াশোনার কারণে ঢাকায় আসা হতো সত্যি, হয়তো মানুষ আমাকে চিনতো না।’
ন্যান্সির তৃতীয় একক অ্যালবাম বেরিয়েছে। নাম ‘দুষ্টু ছেলে’। ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি রেস্তোরাঁয় হয়ে গেলো এর মোড়ক উন্মোচন। ভেতরে, বাইরে অনেক ধরণের পরিবর্তন নিয়ে ন্যান্সি নতুনরূপে ফিরেছেন। ন্যান্সির অ্যালবাম বেরুচ্ছে, আর ফেরদৌস ওয়াহিদ আসবেন না তা কি হয়! বেশ আগেভাগেই তিনি এসেছিলেন। ডায়াসে দাঁড়িয়ে স্মৃতিচারণা করলেন, শুভকামনা জানালেন ন্যান্সিকে।
‘দুষ্টু ছেলে’তে গান রয়েছে ৮টি। ‘তোমার আকাশে’ শিরোনামে একটি নজরুলসংগীতও রয়েছে। বাদ্যযন্ত্র বাজিয়েছেন নিয়ামুল হাসান পুটু, আকু নোমান সজিব, সাকিলুর রহমান প্রিন্স ও আহমেদ সায়েদ। মিক্সিং ও মাস্টারিং করেছেন চিরকুট ব্যান্ডের পাভেল আরীন। ‘দুষ্টু ছেলে’ বাজারে এনেছে সংগীতা।