সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ | ব্রেকিং নিউজ | শিক্ষা ও ক্যারিয়ার » আবরার হত্যা : শুনানি ১৮ মার্চ
আবরার হত্যা : শুনানি ১৮ মার্চ
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ শুনানির তারিখ আগামী ১৮ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু মামলাটি বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে। সংশ্লিষ্ট আদালতে যাওয়ার গেজেট প্রকাশিত হয়নি। এজন্য আদালত চার্জ শুনানির এ তারিখ ঠিক করেন।
আসামিরা হলেন- বহিষ্কৃত বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার ওরফে অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্ত, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মো. মুজাহিদুর রহমান, মো. মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, শামীম বিল্লাহ, মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা, এএসএম নাজমুস সাদাত, আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম, এস এম মাহমুদ সেতু, মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মন্ডল ওরফে জিসান, এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম ও মুজতবা রাফিদ।
আসামিদের মধ্যে প্রথম ২২ জন কারাগারে আছেন। শেষের তিনজন পলাতক রয়েছেন। আর আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ কারাগারে থাকা ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। গত ১৮ নভেম্বর ডিবি পুলিশের দেয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালত। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকা সিএমএম আদালত থেকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। গত ২১ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করে চার্জগঠনের তারিখ ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় আবরার ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা।