বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » জেলার খবর | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » ‘মসজিদ হবে না, স্থানান্তর হবে, তবে সেটা আলোচনা করেই’
‘মসজিদ হবে না, স্থানান্তর হবে, তবে সেটা আলোচনা করেই’
ঢাকার চারপাশের নদী দখল করে গড়ে ওঠা মসজিদসহ ধর্মীয় স্থাপনা স্থানান্তর করে নদীর সীমানার বাইরে নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প নেয়া হচ্ছে জানিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘কোনো মসজিদ ভাঙা হবে না, আমরা সমন্বয় করব। নদীর জায়গায় মসজিদ হবে না, স্থানান্তর হবে, তবে সেটা আলোচনা করেই হবে। এখানে কোনো ফোর্স অ্যাপ্লাই করা হবে না।’ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর তীরভূমিতে বিদ্যমান মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় স্থাপনা স্থানান্তর করে বাইরে নির্মাণ সংক্রান্ত এক সভার শুরুতে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘ঢাকাকে বসবাসেরযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দখলমুক্ত করে নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই। গত এক বছর ধরে যে উচ্ছেদ অভিযান চলছে, তা মোটামুটি বাধাহীনভাবেই এগিয়ে চলছে। সেখানে মসজিদ মাদরাসা, এতিমখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শ্মশানঘাটসহ অন্যান্য কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যেগুলো আমাদের অনুভূতির সঙ্গে যুক্ত। সেগুলোতে আমরা কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করিনি, আমরা আলোচনা করছি।’ এক বছর আগে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা কমিটির সঙ্গে কথাবার্তা বলে মতামত জানানোর জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উনি বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে সভাটা করে উঠতে পারেননি। আমরা গত ১০ ডিসেম্বর প্রত্যেকটি মসজিদ, মন্দির, শ্মশান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্নধারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসেছি। আলোচনায় আমরা বলেছি, আমরা এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে উচ্ছেদ করতে চাই না, আমরা এটাকে সমন্বয় সাধন করতে চাই। আমরা সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা এই জায়গায় পরিকল্পিতভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে গড়ে তুলতে পারি কিনা। এগুলো অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। সেই আলোকেই আমরা আলোচনা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকার আশপাশে নদীর তীরে যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে সেগুলো যদি পরিকল্পিতভাবে করতে পারি, এর সংখ্যা অনেক কম। এটা করলে যখন আমরা নদী দিয়ে চলাচল করব এই ধরনের সুদৃশ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দেখব সেটাও আমাদের ভালো লাগার একটা বিষয় হবে। বিদেশি মেহমানরাও যখন নদীতে ভ্রমণ করবেন, দেখবেন বাংলাদেশ সরকার একটি সুন্দর চিন্তা-ভাবনা নিয়ে একই ডিজাইনের এই প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তুলেছে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।’ সভায় আরও জানানো হয়, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা ও ধলেশ্বরী নদী দখল করে ১১৩টি ধর্মীয় স্থাপনা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা ও মাজার রয়েছে ৭৭টি; কবরস্থান ও মৃত ব্যক্তির গোসলখানা ৫টি; ঈদগাহ একটি; স্কুল ও কলেজ ১৪টি; স্নানঘাট, মন্দির ও শ্মশানঘাট ১৩টি এবং অন্যান্য স্থাপনা ৩টি।