বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ব্রেকিং নিউজ » তামিম, আল-আমিনের সেঞ্চুরির পর ম্যাচ ড্র
তামিম, আল-আমিনের সেঞ্চুরির পর ম্যাচ ড্র
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) একাদশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচটি ড্র হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ে প্রথমে ব্যাট করতে মেনে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করে। আজ আর তারা ব্যাট করতে নামেনি। ইনিংস ঘোষণা করে বিসিবি একাদশকে ব্যাট করতে পাঠায়।
আকবর-ইমনরা ব্যাট করতে নেমে ৬৯ রানেই হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন আল-আমিন জুনিয়র ও তানজিদ হাসান তামিম। তারা দুজন ২১৯ রানের জুটি গড়েন। দুজনেই তুলে নেন সেঞ্চুরি (তামিম ১২৫*, আল-আমিন ১০০*)। তাদের জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে বিসিবি একাদশ ২৮৮ রান তোলার পর ড্র মেনে নেয় উভয় দল।
বল হাতে জিম্বাবুয়ের আইন্সলে এনডোলভু ২টি উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
জিম্বাবুয়ে : ২৯১/৭ ডিক্লে.
বিসিবি একাদশ : ২৮৮/৫ (৫৯.৩ ওভারে)
ফল : ড্র।
অপরাজিত থাকেন : আল-আমিন জুনিয়র ১০০* ও তানজিদ হাসান তামিম ১২৫*।
আউট হয়েছেন : নাঈম শেখ (১১), মাহমুদুল হাসান জয় (১), শাহাদাত হোসেন দীপু (২), পারভেজ হোসেন ইমন (৩৪) ও আকবর আলী (১)।
এবার আল-আমিনের সেঞ্চুরি : তানজিদ হাসান তামিমের পর আল-আমিন জুনিয়রও সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ১৪৫ বল খেলে ১৬টি চারের সাহায্যে তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। ষষ্ঠ উইকেটে তামিমকে নিয়ে ইতিমধ্যে তিনি ২১৯ রানের জুটি গড়েছেন।
তামিমের সেঞ্চুরি, সেঞ্চুরির পথে আল-আমিনও : চা বিরতি থেকে ফিরেই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। ৯৩ বলে ১২টি চার ও ৫ ছক্কায় ১১২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন তিনি। সেঞ্চুরির পথে আছেন অধিনায়ক আল-আমিন জুনিয়রও। তিনি ১৩০ বল খেলে ১৬ চারে ৯৪ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। ষষ্ঠ উইকেটে এ জুটির সংগ্রহ ১৯৯ রান। জিম্বাবুয়ের চেয়ে তারা পিছিয়ে আছে ২৩ রানে।
তামিম-আল আমিনে ২০০ রান পেরিয়ে বিসিবি একাদশ : প্রথম সেশনে ৫ উইকেট হারানো বিসিবি একাদশ দ্বিতীয় সেশনে কোনো উইকেট হারায়নি। আর সেটা সম্ভব হয়েছে অধিনায়ক আল-আমিন জুনিয়র ও তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে। এই জুটি ইতিমধ্যে ১৫৮ রান সংগ্রহ করেছে। আল-আমিন ৭৫ ও তামিম ৮৯ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। তাদের দুজনের ব্যাটে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান তুলে চা বিরতিতে গিয়েছে বিসিবি একাদশ। জিম্বাবুয়ের চেয়ে তারা পিছিয়ে আছে ৬৪ রানে।
তামিম-আল আমিনের জোড়া ফিফটি : বিসিবি একাদশকে টানছেন তানজিদ হাসান তামিম ও আল-আমিন জুনিয়র। ষষ্ঠ উইকেটে ইতিমধ্যে তারা দুজন শতরানের জুটি (১১১) গড়েছেন। দুজনেই তুলে নিয়েছেন ফিফটি। আল আমিন ৮ চারে ৫০ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। তার সঙ্গে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৮ রান নিয়ে ব্যাট করছেন তামিম।
তামিম-আল আমিনে শতরান পেরিয়ে : ৬৯ রানে আকবর আলীর উইকেট হারানোর পর জুটি বাঁধেন তানজিদ হাসান তামিম ও অধিনায়ক আল-আমিন জুনিয়র। তারা দুজন ষষ্ঠ উইকেটে ৪৬ রানের জুটি গড়েছেন। আল আমিন ৩০ রানে ও তামিম ২৭ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
৫ উইকেট হারিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে আকবর-ইমনরা : প্রথম সেশনেই ৫ উইকেট হারিয়েছে বিসিবি একাদশ। রান তুলেছে ৮৪টি। জিম্বাবুয়ের চেয়ে এখনো তারা ২০৭ রানে পিছিয়ে রয়েছে। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগে আউট হয়েছেন থিতু হওয়া ব্যাটসম্যান পারভেজ হোসেন ইমন। এরপর দ্রুতই ফিরেছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান আকবর আলী। দলীয় ৬৮ রানের মাথায় আইন্সলে এনডোলভুর বলে ভিক্টর নাইআাওচির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমন। ৬৬ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ রান করে যান। ৬৯ রানের মাথায় আকবর আলী টিনোতেন্দা মুতুমবোজির বলে বোল্ড হয়ে যান ১ রানে। এরপর আল-আমিন জুনিয়র ও তানজিদ হাসান তামিম মিলে দলীয় সংগ্রহকে ৮৪ রান পর্যন্ত নিয়ে বিরতিতে যান।
তৃতীয় উইকেট হারাল আকবর-জয়রা : নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাচ্ছে বিসিবি একাদশ। ২২ রানে প্রথম, ২৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর ৩৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে। এবার ফিরেছেন শাহাদাত হোসেন দীপু। আইন্সলে এনডোলভুর বলে চার্লটন টিসুমার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন শাহাদাত।
২৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল বিসিবি একাদশ : নাঈম শেখ ফিরে যাওয়ার পর পরই ফিরেছেন মাহমুদুল হাসান জয়ও। দলীয় ২৫ রানের মাথায় চার্লটন টিসুমার বলে রেগিস চাকাবার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জয়। ৫ বল খেলে ১ রান করে যান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে সেঞ্চুরি হাঁকানো জয়।
প্রথম উইকেটের পতন : দলীয় ২২ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারিয়েছে বিসিবি একাদশ। কার্ল মুম্বার বলে ক্রিস্টোফার এমপফুর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন নাঈম শেখ। ১৭ বলে ২ চারে ১১ রান করে গেছেন তিনি।
গতকাল ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করে জিম্বাবুয়ে। কার্ল মুম্বা ৫৪ ও আইন্সলে ২৫ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন। আউট হয়েছিলেন প্রিন্স মাসভাউরি (৪৫), ক্রেইগ আরভিন (১০), ব্রিয়ান মুদজিনগানিয়ামা (১৭), রেগিস চাকাবা (১৩), তিনোতেন্দা মুতুমবোজি (০), কেভিন কাসুজা (৭০) ও তিমিসেন মারুমা (৩৪)।
বল হাতে বাংলাদেশের শাহাদাত হোসেন ৩টি, আল-আমিন জুনিয়র ২টি, শরীফুল ইসলাম ১টি উইকেট নিয়েছিলেন।