সোমবার, ৯ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » বাতিল করা হলো মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান
বাতিল করা হলো মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান
সারাবিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশেও তিনজন এ ভাইরাসে অক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর)। এমন পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য বিবেচনা করে ১৭ মার্চের মুজিব বর্ষের আয়োজন সীমিত করা হয়েছে।
৮ মার্চ, রবিবার রাতের রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল অবদুল নাসের চৌধুরী।
জনস্বাস্থ্য বিবেচনা করে মুজিব বর্ষের ১৭ মার্চের আয়োজন সীমিত করা হয়েছে। যতোটা সম্ভব জনসমাগম পরিহার করে উদযাপন চলবে দেশব্যাপী। অন্যান্য কর্মসূচি চলমান থাকবে।
এর আগে সন্ধ্যায় গণভবনে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি এবং জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সময় জাতীয় কমিটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানার উপস্থিতি ছিলেন।
এ বিষয়ে ড. কামাল অবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিকে বিবেচনায় এনে, আপনারা জানেন জননেত্রী শেখ হাসিনা জনস্বাস্থ্যের বিষয়টাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন, জনকল্যাণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে জনগণ যাতে কষ্ট না পায়। বঙ্গবন্ধু সারাজীবন জনগণের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করেছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘জনসমাগম পরিহার করে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলবে। আমরা বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালা তৈরি করেছি। ১৭ মার্চের যে অনুষ্ঠান এবং সারাদেশে যে অনুষ্ঠানগুলো হবে সেগুলোতে বড় ধরণের জনসমাগম পরিহার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে সীমিত আকারে অন্যান্য যে কর্মসূচিগুলো আছে তা চলবে।’
এর আগে রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআর’র পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বাংলাদেশে তিনজন ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানান।
এ সময় ফ্লোরা বলেন, ‘বাংলাদেশে তিনজনের শরীরে নভেল করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। এ তিনজনের মধ্যে দুজন ইতালি থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। তাদের কাছে থেকে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং একজন নারী। এদের বয়স বিশ থেকে পয়ত্রিশ বছরের মধ্যে বলে জানা গেছে।’
তবে ফ্লোরা আরো বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ার মতো কোনো পরিস্থিতি হয়নি। স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া আছে। আশঙ্কা করছি না আরো ছড়িয়ে পড়বে। প্রত্যেকের মাস্ক পড়ে ঘুরে বেড়ানোর কোনো দরকার নেই।’
বাংলাদেশের সকল বাসিন্দাকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন আইইডিসিআর এর পরিচালক।