বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » জেলার খবর » নেত্রকোনায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত অর্ধশত
নেত্রকোনায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত অর্ধশত
বুধবার ১৭ই মার্চ পক্ষকাল সংবাদঃ
নেত্রকোনার মদন উপজেলায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেসময় পুলিশসহ প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ।
বুধবার বিকেলে উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের সিংহের বাজারের পাশে গৌরার হাওরে মাখনা ও বাউসা গ্রামবাসীর মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এসময় আরিফ নামে এক পুলিশ সদস্য আহত হলে তাকে মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পরবর্তীতে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংঘর্ষে আহত বাউসা গ্রামের মোজাম্মেল ও রুকেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত খসরু, সাইদুল, আবু সাহেদ, পায়েল, সবুজ, লুৎফুর রহমান, কেন্তু মিয়া, টিপুল, তাইজুল ইসলাম, মাখনা গ্রামের সজুত মিয়া, ইছহাক মিয়া, সাইকুল ইসলাম, সুহেল মিয়া, হেকিমকে মদন ও পাশের উপজেলা তাড়াইল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাউসা গ্রামের মানিক মিয়া জনতা বাজারের ২ শতাংশ ভূমি মাখনা গ্রামের ফৌজদার মিয়ার কাছে বিক্রি করে দেয়। ফৌজদার মিয়া ক্রয়কৃত ভূমিতে দোকান ঘর নির্মাণ করায় মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মানিক মিয়ার টিন সেড, ফৌজদার মিয়া ও শান্তু মিয়ার নব-নির্মিত আধা পাকা দোকানঘর ভেঙে ফেলে বাজার কমিটি ও এলাকাবসী।
এ ঘটনায় মাখনা গ্রামের ফৌজদার মিয়ার ছেলে সোহেল খান বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে ২০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করে বাজার কমিটির সভাপতি আজিজুল হকসহ আট জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এরই জের ধরে বুধবার বিকেলে ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ওসি মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে আছি। সংঘর্ষে আমার এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১১ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’