শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

Daily Pokkhokal
শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » জেলার খবর » টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে বন্দিরা খাবারের মানে বৈচিত্র ও মুঠোফোনে স্বজনদের সাথে কথা বলার সুযোগ মিলছে
প্রথম পাতা » জেলার খবর » টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে বন্দিরা খাবারের মানে বৈচিত্র ও মুঠোফোনে স্বজনদের সাথে কথা বলার সুযোগ মিলছে
৩৫২ বার পঠিত
শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে বন্দিরা খাবারের মানে বৈচিত্র ও মুঠোফোনে স্বজনদের সাথে কথা বলার সুযোগ মিলছে

---
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কারা অধিদপ্তরের  প্রথম ধাপে সরকারী উদ্যোগে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে বন্ধীদের জন্য মুঠোফোনে তাদের স্বজনদের সাথে কথা বলার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। সকল বন্ধীরা সপ্তাহে একদিন ও বিশেষ প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় দু’দিন কারা ফোনবুথ থেকে কথা বলতে পারেন।
সেই সাথে বন্ধীদের খাবারে বৈচিত্র বেড়েছে। সকালে রুটি-সুজি, খিচুরি, দুপুরে সব্জিসহ ডালভাত। এছাড়া কোর্টে যেতে বন্ধীদের খেতে দেয়া হয়
ডিম-রুটি ও কলা। সপ্তাহে ২/৩ দিন মাছ,মাংস ছাড়াও বিশেষ দিবসে ও ঈদ উৎসবে রয়েছে খাবারের বিশেষ আয়োজন পোলাও মাংস, সেমাই, মাছ, মিষ্টি, পান-সুপারি ইত্যাদি। বন্ধীদের রাতে ঘুমানোর জন্য কারা অধিদপ্তর বালিশও প্রদান করেছেন।
বর্তমানে করোনা প্রতিরোধে বন্ধীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বোধ জাগ্রত করে তোলছেন টাঙ্গাইল জেলা কারা কর্তৃপক্ষ। বন্ধীদের নিরক্ষরতা দূরীকরণে
ও মাদ্রাসা ভিত্তিক পাঠদান অব্যাহত রয়েছে। রায়তুল ফালাহ মসজিদ টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের অন্যতম সৌন্দর্য যা বন্ধী মুসুল্লিদের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনার প্রিয় স্থান।
কারাসূত্র জানায়, গত মাসে ৩৬ জন কারা মাদ্রাসা ছাত্রদের সনদ প্রদান করা হয়েছে। পবিত্র কোরআন শিক্ষা এখান থেকে তারা গ্রহণ করে কারাবন্দিরা সন্তুষ্ট। প্রতি মাসে কোরআন  হাতে দেয়া হচ্ছে বন্ধীদের।
টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের জেল সুপার  আলহাজ আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, কারা বন্ধীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে হলে তাদের নানামুখী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে হবে। যাতে তারা জামিনে কিংবা খালাসে মুক্তি পেয়ে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে নিজেকে আতœনির্ভরশীল করে গড়ে তোলতে পারেন।
পাশাপাশি, আমরা অস্বচ্ছল বন্ধীদের মুক্তি করাতে সরকারী উদ্যোগে জাতীয় আইনী সহায়তা ও কারা কর্তৃপক্ষও ভূমিকা রাখছেন।
টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে ১৭৮ জন স্টাফ ও বার শতাধিক বন্ধী রয়েছে। কারাগারে পিসি ক্যান্টিনের পণ্যদ্রব্য বাজারের মূল্যের সাথে সমন্বয় করে বন্ধীদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।  বন্ধীদের মৌল মাণবিক চাহিদা পূরণে যথাসাধ্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানান।
কারাগার থেকে খালাসে ও জামিনে মুক্তি পাওয়া একাধিক বন্ধীদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, তাদের কারা অভ্যন্তরে থাকা দিনগুলো পাড়ি করতে কষ্ট হলেও কিছুটা ব্যাপার সরকারের মাণবিক দৃষ্টিতে দেখা উচিত, কি সেটা তা জানতে চাওয়া হলে তারা জানান, স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে
আমাদের স্বজনদের সাথে মাসে  কমপক্ষে একবার হলেও সাক্ষাৎ কক্ষ পূর্বের ন্যায় উন্মুক্ত করে দেয়া অর্থাৎ আমরা যেমন বন্দি ছিলাম তেমনি কারা অভ্যন্তরে থাকা বন্ধীরা যাতে স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারে সে ব্যবস্থা করা, তাদের আকুতি আমরা স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ করতে চাই । এজন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)