আওয়ামী লীগ আমলে সংখ্যালঘু নির্যাতন বেড়ে গেছে: ফখরুল
পক্ষকাল সংবাদ -
বিএনপি আমলের চেয়ে আওয়ামী লীগ আমলে সংখ্যালঘু নির্যাতন বেড়ে গেছে এবং আওয়ামী লীগ আমলেই সবচেয়ে বেশী সংখ্যালঘু দেশ ছেড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সুনামগঞ্জের শাল্লায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলেনে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় দাবি করে আসছে তাদের আমলে দেশের সংখ্যালঘুরা সব সময় নিরাপদে থাকে। কিন্তু আপনারা দেখেছেন এই সরকারের আমলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার যে ঘটনাগুলো ঘটছে, এরকম ঘটনা অতীতে কখনোই ঘটেনি। আর এই সকল ঘটনায় সব সময় নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতারা।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে বলে যে তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে চায়, সংখ্যালঘুদের স্বার্থ ছাড়া রক্ষা করতে চায়। কিন্তু বাস্তবে তারা কিছুই করেনি। এ সরকারের সময় কেন এ দেশের সংখ্যালঘুরা ভারতে চলে যায়, কারণ তারা জানে এই সরকারের সময়ে তারা নিরাপদ নয়। সুনামগঞ্জের শাল্লায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালিয়েছে যুবলীগের নেতারা। এর মধ্যে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন এই ঘটনার সাথে বিএনপি জড়িত। কিন্তু এখানে বিএনপ’র নামগন্ধও নেই।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘শুধু আজকের ঘটনা না, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের পরও কিন্তু তারা (আওয়ামী লীগ) একই ঘটনা ঘটিয়েছে। তখনো কিন্তু সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখল করার, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার ঘটনাগুলোর নেতৃত্ব দিয়েছিল আওয়ামী লীগের নেতারাই। সে জন্যই আমরা বারবার বলছি, আওয়ামী লীগ মুখে বলে তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে চায়, সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষা করতে চায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা শত্রু সম্পত্তি আইন বাতিল করেনি এবং তাদের ন্যায্য অধিকারগুলো দেয়নি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কেন আজকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার পরও কী কারণে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকের ভারতে চলে যাচ্ছে? এ কারণে যে সংখ্যালঘুরা নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। তাদের সম্পত্তি দখল করা, মালামাল লুট করা হচ্ছে। বছর দুই আগেও আমার ঠাকুরগাঁওয়ের একজন প্রভাবশালী এমপি কয়েক শত একর জমি দখল করে নিয়েছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আওয়ামী লীগ এ ঘটনাগুলো আড়াল করতে চায়।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ ও নির্বাহী পরিষদের সদস্য নিপুণ রায়।