শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » » মোদী-হাসিনা বৈঠকে সীমান্ত প্রসঙ্গ
মোদী-হাসিনা বৈঠকে সীমান্ত প্রসঙ্গ
পক্ষকাল ডেস্ক -
সীমান্তে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কথা তুলে ধরে তা শূন্যে নামিয়ে আনতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সীমান্ত প্রসঙ্গ উঠে আসে বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান।
সাক্ষাতের পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্তে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ঘটনা বাড়ার কথা তুলে ধরে বিষয়টিকে যথাযথভাবে ‘দেখার জন্য’ নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
“প্রধানমন্ত্রী এই অনুরোধ জানিয়েছেন যেন এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো শূন্যে নেমে আসে। জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, মাঠ পর্যায়ের সহযোগিতা এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে সহায়তা করবে।”
বৈঠকে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, এক মিলিয়নেরও বেশি মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিককে তাদের দেশে প্রত্যাবাসনে ভারতের আরও সক্রিয় ভূমিকা আশা করে বাংলাদেশ। এদের অনেকেই যেন মাদক ব্যবসা ও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে না পড়ে সেজন্য যত দ্রুত তাদের ফেরত পাঠানো যায় ততই মঙ্গল।
“ভারত রিফিউজিদের টেকসই প্রত্যাবর্তন চায় বলে বৈঠকে জানান নরেন্দ্র মোদী।”
তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, “তিস্তা পাড়ের মানুষের খুব কষ্ট হয়। ৯ বছর আমরা দুই দেশ এই চুক্তির ব্যাপারে উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।”
“নরেন্দ্র মোদী বলেন, সবগুলো নদীর পানিবণ্টন বিষয়ে একটা গ্রহণযোগ্য সমাধানের বিষয়ে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
বাংলাদেশকে আরও ১২ লাখ কোভিড টিকা উপহার দেওয়ায় ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটা ভারতের ‘সর্বাগ্রে প্রতিবেশী’ নীতিরই প্রতিফলন। ভারতের ঋণচুক্তি (এলওসি) বাংলাদেশ কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে আগ্রহী।
তবে এর আওতায় অকার্যকর প্রকল্পগুলো তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দ্রুত ঋণ ছাড় করে প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন যেন বিলম্বিত না হয় প্রধানমন্ত্রী এমনভাবে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন বলেও জানান ইহসানুল করিম।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, কৃষিমন্ত্রী মো.আব্দুর রাজ্জাক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের পক্ষে ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার অজিত কুমার দোভাল, পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী উপস্থিত ছিলেন।