নিজেদের তৈরি টিকা নিয়ে হতাশ চীন
আন্তর্জাতিক সময় ডেস্ক
করোনা সংক্রমণ রোধে চীনের আত্মবিশ্বাস অজানা নয়। তারা চেয়েছিল খুব দ্রুতই দেশটির বিপুল জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসবে। কিন্তু তাদের সে ভাবনা গুঁড়েবালি। সম্প্রতি তারা জানিয়েছে, তাদের টিকা ওতোটা কার্যকরী নয়। তারা আরও উপযোগী টিকা খুঁজছে।
গত বছর ডিসেম্বরে ব্রিটেনে ছাড়পত্র পেয়েছিল ফাইজারের কোভিড ভ্যাকসিন। এরপরে এক এক করে বাজারে আসতে থাকে মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, জনসন অ্যান্ড জনসনসহ বিভিন্ন সংস্থার টিকা। কিন্তু ইদানীং দেখা যাচ্ছে, সেই সব টিকা যথেষ্ট কার্যকর হচ্ছে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নতুন স্ট্রেনের সামনে পড়ে প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছে বাজারে আসা টিকাগুলো। দক্ষিণ আফ্রিকা তো জানিয়ে দিয়েছে, করোনার নতুন স্ট্রেন মোকাবেলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা কাজ করছে না ।
এই পরিস্থিতিতে চীনের শীর্ষস্থানীয় এক বিশেষজ্ঞ একটি প্রস্তাব দিয়েছে। বাজারে প্রাপ্য ভ্যাকসিনগুলো মিশিয়ে এমন একটি নতুন প্রতিষেধক তারা তৈরি করতে চায় যার ক্ষমতা চলতি টিকাগুলোর চেয়ে অনেকটাই কার্যকরী।
চীনের উৎপাদিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কম বলে স্বীকার করে দেশটির রোগনিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের পরিচালক গাও ফু জানান, কার্যকারিতা বাড়াতে ভ্যাকসিনে পরিবর্তন আনার চিন্তা করছে চীন সরকার।
এরআগে তিনি বলেছিলেন, টিকাকরণেরে মাধ্যমে কোভিডকে পরাস্ত করা সম্ভব। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, এ বছরের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করেছে চীন।