পক্ষকাল / গাইবান্ধা -ডেস্ক-
করোনা সংকট: ‘৫০ হাসপাতাল খুঁজে মিলল আইসিইউ বেড’
গাইবান্ধা শহরের ফকিরপাড়ায় বোনের বাড়ি থেকে নিখোঁজের তিনদিন পরও উদ্ধার হয়নি নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী (১৬)।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাতে ওষুধ কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হন শহরের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ওই ছাত্রী।
এ ব্যাপারে সদর থানায় জিডি করার তিনদিন পরও ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে থানা পুলিশের হাতে তুলে দিলেও তাকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ পরিবারের।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর বোনের জামাই শহরের ফকিরপাড়ার আল আমিন লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, তার বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীটি লেখাপড়া করতো। গত ১৫ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে সে জেলা সদর হাসপাতালের সামনে ওষুধের দোকানে ওষুধ কিনতে যায়। এরপর নিখোঁজ হয়। পরে তারা নিশ্চিত হন প্রেমের সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে পলাশবাড়ির জামালপুর গ্রামের শাহানুর মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান সিয়ামসহ চারজন মোটরসাইকেলে তাকে পলাশবাড়িতে নিয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রথমে মেয়েটির পরিবার অপহরণের বিষয়টি বুঝতে না পেরে তার নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে ১৫ এপ্রিল রাতেই সদর থানায় একটি জিডি করে। পরে তারা জানতে পারে তাকে অপহরণ করা হয়েছে। পরদিন ১৬ এপ্রিল তার সাথে মেহেদি হাসান সিয়ামের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে বড় বোন সুইটি আকতারের পলাশবাড়ির বাসায় যান সিয়ামের মামা বুলবুল আহমেদ।
মেয়েটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে কৌশলে বুলবুলকে গাইবান্ধায় নিয়ে এসে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে ওই রাতেই বুলবুলকে সহকারী পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) এর নির্দেশে তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।
পলাশবাড়ি পৌরসভার মেয়র গোলাম সারওয়ার বিপ্লব অপহৃত মেয়েটির ফুফাতো ভাই হওয়ায় তার শরণাপন্ন হলে তিনি তাকে উদ্ধারের আশ্বাস দেন। কিন্তু দুইদিন পর তিনি তাদেরকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরামর্শ দেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অপহৃতের মা, বড় বোন, মেজো বোন সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাসলিমা সুলতানা স্মৃতি, তার বড় মা আয়শা বেগম, প্রতিবেশী আরিফ হোসেন, শাহরিয়ার নাজিম প্রমুখ।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজার রহমান বলেন, বুলবুলকে তার মোটরসাইকেলসহ একটি বাসায় আটকে রেখে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ পেয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। অপহৃত মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।