বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪
প্রথম পাতা » » বকশীবাজারে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষ, পুলিশের গুলি
বকশীবাজারে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষ, পুলিশের গুলি
পক্ষকাল প্রতিবেদক : বকশিবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে বেগম খালেদা জিয়ার হাজিরাকে ঘিরে বিএনপি ও ছাত্রদল মিছিল করলে ছাত্রলীগও পাল্টা মিছিল বের করে। এসময় ছাত্রলীগ সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগের নেতৃত্বে কর্মীরা বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে কয়েকজন আহত জন।
ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের বাইরে বকশীবাজার এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এসময় বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ার শেল এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়েয়েচন বলে খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বকশী বাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের অস্থায়ী আদালতে খালেদা জিয়ার যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ সংঘর্ষের সূত্রাপাত হয়। পরে তা বকশী বাজার মোড়সহ আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বকশী বাজার মোড়ে খালেদা জিয়া আদালত চত্বরে যাওয়ার খবরে মিছিল বের করে ছাত্রদল। এসময় বুয়েট ছাত্রলীগের কর্মীরা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ার শেল ছুড়ে।
পরে তা পলাশী মোড়, নাজিম উদ্দিন রোড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, চান খাঁর পুল মোড়সহ এর আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে পুলিশসহ প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এর মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জিনাত বলেন, পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মোজাম্মেল হক জানান, হাতে মাথায় আঘাত নিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক আহত ব্যক্তি হাসপাতালে আসছেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ দিকে এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকৃতরা হলেন, রিপন মণ্ডল, সোহেল, আরিফুল ইসলাম এবং আল আমিন।
লালবাগ থানার এসআই ডেরিক জানান, ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।