শুক্রবার, ২৩ জানুয়ারী ২০১৫
প্রথম পাতা » » দক্ষিণ এশিয়াকে ভারতের উচিৎ নেতৃত্ব দেওয়া: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দক্ষিণ এশিয়াকে ভারতের উচিৎ নেতৃত্ব দেওয়া: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পক্ষকাল প্রতিবেদকঃ শুক্রবার ঢাকায় ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস সামনে রেখে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেইন্ডশিপ সোসাইটি এক সেমিনারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা এ অঞ্চলের যৌথ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে বিশ্বাস করি।”
তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ভারত উন্নয়নের যে পথে এগিয়েছে বাংলাদেশ তা গভীর আগ্রহের সঙ্গে প্রত্যক্ষ করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত কেবল বন্ধু ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র নয়, উন্নয়ন সহযোগীও বটে। আর এই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে দুই দেশের শত বছরের ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা, নৃতাত্ত্বিক, ধর্মীয় ও সামাজিক যোগাযোগের ভিত্তিতে।
১৯৭১ সালে ভারত যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল, তখনই এই বন্ধুত্বের বিষয়টি নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতায় ফেরার পর সেই বন্ধুত্ব নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
“সহযোগিতা ও উন্নয়নের নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হয়েছে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে দিয়েছে নতুন ব্যাপ্তি, নতুন মাত্রা।”
বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ও ভারতে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্ব দুই দেশের বিগত দিনের সাফল্য ও অগ্রগতিকে নতুন যুগে নিয়ে যাবে বলেই মাহমুদ আলীর বিশ্বাস।
“আর এতে কেবল বাংলাদেশ ও ভারত নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়া উপকৃত হবে”, বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সাফল্যই ভারতকে নেতৃত্বের আসনের জন্য উপযুক্ত করেছে।
সমন্বিত উদ্যোগ ও চেষ্টা এ অঞ্চলকে উন্নয়নের প্রত্যাশিত মাত্রায় পৌঁছে দিতে পারে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “দক্ষিণ এশিয়া যাতে বিশ্বে সব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, সেই লক্ষ্যে ভারত নেতৃত্বের ভূমিকা নেবে বলেই আমাদের প্রত্যাশা।”
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারত এ অঞ্চলের শত কোটি মানুষের জীবনে সত্যিকারের ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারবে বলেই তার বিশ্বাস।
২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস সামনে রেখে প্রতিবেশী এই দেশটির জনগণকে অভিনন্দন জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেইন্ডশিপ সোসাইটির সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী ও ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার পঙ্কজ শরণ সেমিনারে বক্তব্য দেন।