শুক্রবার, ২৩ জানুয়ারী ২০১৫
প্রথম পাতা » » বাংলাদেশে সেনা হস্তক্ষেপের শঙ্কা দেখছে না যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশে সেনা হস্তক্ষেপের শঙ্কা দেখছে না যুক্তরাজ্য
পক্ষকাল
ঃখালেদা জিয়ার বর্তমান রাজনৈতিক কৌশলে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে সরকার উৎখাতের প্রত্যাশা থাকতে পারে বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করলেও আপাতত তেমন কোনো আশঙ্কা দেখছে না যুক্তরাজ্য।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউজ অব কমন্সে বাংলাদেশ নিয়ে প্রতিবেদন
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউজ অব কমন্সে জমা দেওয়া এক প্রতিবেদনে এ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে।বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ‘পলিটিক্যাল ক্রাইসিস ইন বাংলাদেশ : জানুয়ারি ২০১৫ আপডেট’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদন বুধবার প্রকাশিত হয়।
গত ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে শুরু হওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উদ্বেগ প্রকাশের বিষয়টি তুলে ধরে এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সব পক্ষকেই সংযত হয়ে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘গণতন্ত্র নিয়ে খামখেয়ালির’ অভিযোগ রয়েছে। তবে গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অঙ্গীকার নিয়েও অনেক বিশ্লেষকের প্রশ্ন রয়েছে।
কেউ কেউ মনে করছেন- তিনি (খালেদা) প্রত্যাশা করতে পারেন যে, তার বর্তমান কৌশল সেনাবাহিনীকে আরো একবার হস্তক্ষেপ ও আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতের দিকে ঠেলে দিবে। যদিও এখন পর্যন্ত সেরকম ঘটার কোনো লক্ষণ নেই।”
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পর্যায়ক্রমে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসা এবং এরইমাঝে রাজনৈতিক বিরোধের সুযোগে সামরিক হস্তক্ষেপের ইতিহাস তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাবাহিনী কয়েক দফায় বাংলাদেশের ক্ষমতায় ‘সার্কিট ব্রেকার’ হিসেবে কাজ করে।এতে বলা হয়, বাংলাদেশে সেনাবাহিনী সব সময় একটি রাজনৈতিক ভূমিকা রেখে এসেছে; সাধারণভাবে যা আওয়ামী লীগের প্রতি বৈরী।
দুই বছর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তিন চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয়ী হলে অনেকে আশা করেছিলেন বাংলাদেশ অতীত রাজনৈতিক ইতিহাস থেকে বেরোতে পারবে। তবে দুই বেগম হিসেবে পরিচিতি পাওয়া শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার বিবাদের কারণে সেই সুযোগ ভেস্তে গেছে।”
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এই প্রতিবেদনে ‘রাজনৈতিক সংঘাতের’ মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করা হয়েছে।এতে বলা হয়, অনেক চ্যালেঞ্জ থাকলেও সামাজিক উন্নয়নেও ভালো অগ্রগতি হয়েছে।মানতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত চৌধুরী মঈনুদ্দিনকে হস্তান্তরে বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যকে কোনো অনুরোধ করেছে কি-না সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
কয়েক বছর ধরে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফেরত চাওয়ার কোনো অনুরোধও যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে পৌঁছানোর তথ্য মেলেনি বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
পার্লামেন্টে দেওয়া এই প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের বিদ্যমান আইনে চৌধুরী মঈনুদ্দিনকে ফেরত পাঠানোর বাধ্যবাধকতা নেই।
মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত বা এ দণ্ড পেতে পারেন এমন কাউকে যুক্তরাজ্য হস্তান্তর করে না জানিয়ে এতে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে না- শুধু এ নিশ্চয়তার ভিত্তিতেই কাউকে হস্তান্তর করা যেতে পারে।