
শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » বরিশালের চরবাড়িয়া ইউনিয়নে কৃষক দলের কমিটিতে আ’লীগের নেতা- কর্মীরা
বরিশালের চরবাড়িয়া ইউনিয়নে কৃষক দলের কমিটিতে আ’লীগের নেতা- কর্মীরা
বরিশাল অফিস : বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কৃষক দলের কমিটিগুলোতে ঠাঁই পেয়েছে আওয়ামীলীগ নেতা ও কর্মীরা।টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রির অভিযোগ। কমিটি বাতিলের দাবীতে ঝাড়ু মিছিল।ইউনিয়ন কৃষক দলের আহবায়ক ও সদস্য সচিবে বহিস্কার ও তাদের গঠিত সকল ওয়ার্ড কমিটি বাতিলের দাবী জানিয়েছে স্থানীয় বিএনপি,কৃষকদলের নেতা ও কর্মীরা।
২৮ মার্চ শুক্রবার বিকেল তিনটায় চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মুকুন্দপট্টি বাজারে ঝাড়ু মিছিল করেছেন পদ বঞ্চিত নেতা কর্মীরা। তাদের অভিযোগ টাকার বিনিময়ে ফ্যাসিবাদের লোকজনদের টাকার বিনিময়ে পদ দেয়া হয়েছে। ঝাড়ু মিছিলের নেতৃত্ব দেন কৃষক দলের পদ বঞ্চিত নেতা মোঃ শুক্কুর বেপারী, রফিক খান, মন্টু হাওলাদার, শিউলি আক্তার, লিজা বেগম মঞ্জু।এছাড়া কৃষকদলের নেতাকর্মীরা এই ঝাড়ু মিছিলে অংশ নেন ।
ঝাড়ু মিছিলে অংশ নেয়া কৃষক দলের লোকজন জানান,চরবাড়িয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের আহবায়ক মোঃ সাজেদুল ইসলাম সুমন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন টাকার বিনিময়ে আওয়ামীলীগ ও আওয়ামী দোসরদের দিয়ে পকেট কমিটি বানিয়েছে। আমরা এই অবৈধ কমিটি মানি না । নেতাকর্মীরা আরো বলেন, আগামী ১০ দিনের ভিতরে যদি পকেট কমিটি ভেঙে দেয়া না হয় তাহলে তারা কঠোর আন্দোলনের ডাক দিবেন।তাদের দাবী যারা কৃষকদলে দুর্দিনে ছিল তাদেরকে দিয়ে কমিটি দেয়া হোক।প্রকৃত কর্মীদের মাঝে পদ দেয়া হলে কোন আপত্তি নাই। যদি আওয়ামীলীগ ও তাদের দোসরদের দিয়ে কমিটি দেয়া হয় কা মেনে নেয়া হবেনা।তারা বলেন,দলের জন্য হামলা- মামলা, জেল- জুলুম, নির্যাতিত হয়েছি ।অবৈধ কমিটিগুলো বাতিল করার জন্য তারাজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান ও সদস্য সচিব মোঃ আবুল কালাম শাহিন এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কমিটির বিষয়ে ২ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি আব্দুর রশিদ হাওলাদার বলেন, ২ নম্বর ওয়ার্ডে যে কৃষক দলের কমিটি হয়েছে তা আমরা জানিনা। আমাদের না জানিয়ে ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যে কমিটি দিয়েছে তা আমাদের আদৌ জানা নেই তারা আওয়ামী লীগের দোসরদের দিয়েই পকেট কমিটি দিয়েছে । তারা ৫ তারিখের পরে বিএনপি আগে ছিল আওয়ামী লীগ এটা সত্য। ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বলেন এসব পকেট কমিটি ভেঙে দিয়ে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হোক ।
এদিকে চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম ওরফে ইটালী শহিদের বাসা-বাড়ির কেয়ার টেকারকে কৃষকদলের কমিটিতে সিনিয়র সহ সভাপতি করায় ওয়ার্ড জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।এক নম্বর ওয়ার্ড কমিটিতে জায়গা পেয়েছে আওয়ামী দালাল ও আওয়ামীনেতা ও কর্মীরা। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কৃষকদলের বিতর্কিত কমিটি দেয়ার কারনে তোপের মুখে ইউনিয়ন কৃষকদলের আহবায়ক ও সদস্য সচিব।
১নম্বর ওয়ার্ডের কমিটি নিয়ে গিয়াস নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ৫ ই আগস্টের আগে করছে দালালি তার পরে কিছু নেতার লাভের জন্য বিএনপির ব্যানারের সামনে জায়গা পেয়ে হয়ে গেল আওয়ামী লীগ নেতার পরিত্যক্ত বাড়ির কেয়ারটেকার ।এই ধরনের লোকের সাথে বিএনপির কোন লোক সম্পর্ক রাখলে তাদের কোন কমিটিতে রাখা উচিত না
এই পোস্টটি আমি আগেই করতাম ।কিন্তু নেতাদের সন্মানের জন্য পোস্টটি করিনি আজকে পোস্ট করতে বাধ্য হলাম ।নেতারা টাকা খেয়ে কমিটি দিবে টাকা জদি নাই খেয়ে থাকে তবে কি করে এই কৃষক দলের লোক আওয়ামীলীগের বাড়ির ফলন ফলায় তোমরা জেনেও কেনো তাকে কমিটিতে জায়গা দিলে। পোস্টের কমেন্টে সাইফুল নামে একজন মন্তব্য করেছেন,ভাই আমাদের এলাকাতে একই অবস্থা তবে কলম কাটা আওয়ামী লীগের যেমন বিএনপিতে আগমন কোনদিনই মেনে নেবে না বিএনপির ছেলেপেলে।
এছাড়া,এম ডি মিলন নামের একজন মন্তব্য করেছেন,আর চার জন দালালের ভিতরে দুই জন বাটনার আর এক জন হলো ও উলাল বাটনার আর এক জন হলো ও আমিরগঞ্জ বাটনার ২০১৮ সালে নির্বাচন ইতালির সহিদের সাথে আমাদের মারা মারি হয় তখন ঔ দালালেরা সহিদের হয়ে দালালি করে।এভাবে অসংখ্য লোকজন মন্তব্য করেছে যে কমিটি দেয়া হয়েছে টাকার বিনিময়ে।টাকা নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা ও কর্মীদের ঠাঁই দেয়া হয়েছে কৃষকদলের কমিটিতে।
এদিকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে যাকে কৃষকদলের সভাপতি করা হয়েছে সে আওয়ামীলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এছাড়া এম খান নামক একজনের পোস্টে মন্তব্য করেন বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক ও চরবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম সাবু। তিনি লিখেছেন,২ নং ওয়র্ডের কৃষকদলের সভাপতি আওয়ামীলীগ করতো।তোমরা কি করো এ গুলো।তিনি তার দ্বিতীয় মন্তব্যে লিখেন,আমি নিজেই জানি ওদের ফ্যামিলীর সবাই আওয়ামীলীগ করে।বিগত দিনে আমি ঐ ছেলেকে নিজে দেখেছি আওয়ামীলীগের প্রোগ্রামে। এ ব্যাপারে চরবাড়িয়া ইউনিয়ন কৃষকদলের আহবায়ক ও সদস্য সচিবকে কল করা হলে তারা কেউ কল রিসিভ করেন নি।