মাদক ব্যবসা করছে পুলিশ!
পক্ষকাল প্রতিবেদক: জব্দকৃত মাদক ফের বাজারেই বিক্রি করে দি”েছন এক শ্রেণীর পুলিশ সদস্য। অভিযোগের তীর ডিবি পুলিশের কিছু সদস্যের বির“দ্ধে। মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা বিপুল পরিমাণ মাদকদব্য নিয়ে এখন তারাই ব্যবসায়ে নেমেছেন। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারাই আবার ঘটনার তদন্ত করছেন। মাদক ব্যবসায় যারা জড়িত তাদের সাথে কথা বললে, তাদের বেশ কয়েকজন জানান, এটা কোন ঘটনাই না। এমন ভঙ্গিতে মামলার বাদী বলেছেন, হয়ে থাকলে হয়েছে। তাতে সমস্যা কোথায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১৫ জানুয়ারি উত্তর যাত্রাবাড়ি ৬৬/১ কলাপট্টি গলির আব্দুস সাত্তার মিয়াজীর ৫তলা বাড়ির নীচতলার একটি র“ম থেকে ৪ বস্তা ২ ব্যাগ ফেনসিডিল, ও ২০/২৫ বোতল বিয়ার উদ্ধার করে ডিবি বিমানবন্দর জোনের টিম। মাদক উদ্ধার করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। টিমের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাত্র ২১০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ তালিকায় দেখিয়ে বাকি মাদক বিক্রি করে দেয়া হয়। ডিবির মুন্সির কনস্টেবল দিলিপ কুমার মন্ডল খুচরা প্রতি বোতল ৪’শ টাকা বিক্রি করছেন বলেও জানা গেছে।
গত ১৮ জানুয়ারি সকাল ৬টায় ২১০ বোতল জব্দ দেখিয়ে এ এস আই পলাশ বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৪২।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে যাত্রাবাড়ি থানার কয়েকজন পুলিশ অফিসার জানান, প্রতি চটের বস্তায় ২৫০ বোতল করে ফেসসিডিল থাকে। তাতে ৪ বস্তা ২ ব্যাগে প্রায় ১২’শ বোতল ফেনসিডিল ছিল। কিন্তু থানায় দেখানো হয়েছে ২১০ বোতল।
উত্তর যাত্রাবাড়ির ওই ৬৬/১ নম্বর বাড়িতে সরেজমিনে ঘুরে কথা হয়, বাড়ির দ্বিতীয় তলার ভাড়াটিয়ার সঙ্গে। ৩ য় তলাসহ কয়েকজন ভাড়াটিয়া জানান, সেদিন এক বস্তা নয় ৪ বস্তা ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। ২য় তলার ভাড়াটিয়া কবীর হোসেন জানান, তাকে মামলার স্বাক্ষী হিসেবে নাম নিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। কবীর জানান, সেদিন ৪ বস্তা বের করে নিয়ে গেছে ডিবি লেখা জার্সি পড়া কয়েকজন। তবে এক বস্তার মুখ খুলে কয়েকটি বোতল বের করে ঘটনা¯’লেই পরীক্ষা করেছেন। কবীর এই প্রতিবেদককে বলেন, স্যার আমার কথা কইয়েন না তাইলে পুলিশ যদি আমার ক্ষতি করে!
মামলায় জব্দকৃত মাদক কম দেখানো কেন হলো জানতে চাইলে মামলার বাদী এ এস আই পলাশ ফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, কম দেখানো হয়ে থাকলে তাতে দোষের কি, সমস্যা কোথায় আপনার? হইলে হইলো। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কারা জানতে চাইলে বলেন, যারা উদ্ধার করেছেন তারাই। আপনি তাদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রতিবেদক এই মুর্হূতে কোথায় আছেন তাও জানতে চান ধমকের সুরে।
এদিকে ডিবি কার্যালযের মুন্সি দিলিপ কুমারকে ফোন করা হলে কোন কথা না বলে ফোন কেটে দেন।