বৃহস্পতিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৫
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর » হরিণাকুন্ডু ওসিসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা
হরিণাকুন্ডু ওসিসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা
- শামীমুল ইসলাম শামীম,ঝিনাইদহ :
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল কবীর ও উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসেনসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অন্যের স্ত্রী অপহরণের দায়ে মামলা হয়েছে। বুধবার হরিণাকুন্ডু উপজেলার আড়–য়াকান্দি গ্রামের আব্দার হোসেনের ছেলে তানভীর আহম্মেদ বাদী হয়ে ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক হেলাল উদ্দীনের আদালতে মামলাটি করেন। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, হরিণাকুন্ডু উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের আব্দুর রউফ, আড়–য়াকান্দি গ্রামের নোমান, তোলা গ্রামের বাচ্চু ও অজ্ঞাতনামা তিন পুলিশ। বিজ্ঞ আদালত বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে ঝিনাইদহের সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেলকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদী তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ২০১৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর বাদী হরিণাকন্ডু উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে রোকসানাকে তিন লাখ টাকার দেন মোহরে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছিলেন। বিয়ের পর বাদী তার স্ত্রীকে নিয়ে গত রোববার (২৫ জানুয়ারী-২০১৫) নিকটাত্মীয় রফিকুল ইসলামের বাড়িতে বেড়াতে যান। এরপর আসামীরা পরস্পরের যোগসাজসে বাদীর স্ত্রী রোকসানাকে জোর পুর্বক অপহরণ করে নিয়ে আসে। বাধা দিলে তারা খুন জখমের ভয় দেখায়। বাদী তার অভিযোগ পত্রে আরো উল্লেখ করেছেন, প্রধান আসামী হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আমার স্ত্রীকে অন্য জনের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য জোর করে অপহরণ করে এনে তিন নং আসামী আব্দুর রউফের কাছে হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলা দিয়ে ক্রসফায়ারের হুমকী দেন ওসি এরশাদুল কবির। অন্যদিকে বাদী তার স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য ঝিনাইদহের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১০০ ধারায় আরেকটি মামলা করেন। এই মামলাটিও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত। ওসির বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান জানান, আদালতের আদেশ পাওয়ার পর মামলার যথাযথ কার্যক্রম শুরু হবে।