বৃহস্পতিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৫
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর » স্বামী নুরুজ্জামানের নির্যাতনে শহীনা গৃহহীন
স্বামী নুরুজ্জামানের নির্যাতনে শহীনা গৃহহীন
সাহাদাত হোসেন (সাকু): দাউদকান্দি উপজেলার আইটবাগ গ্রামের হাজী আব্দুর রহমানের কন্যা শাহীনা আক্তার। ১৯ অক্টোবর ২০০৩ সালে থৈর খোলা গ্রামের আড়াই ভূঁইয়র ছেলে নুরুজ্জামানের সাথে শাহিনার পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিয়েতে নুরুজ্জামানের চাহিদা মোতাবেক বিভিন্ন স্বার্ণালংকার ও আসবাবপত্র দিয়েছিল। বিবাহের পর নুরুজ্জামান আরো যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে শাহীনার বাবা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন কিস্তিতে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দেয়ে। এতেও সে ক-খান্ত হয়নি ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে নুরুজ্জান ওমান থেকে দেশে আসার পর সু-কৌশলে শাহীনার বাবার কাছে আরো ২ লাখ টাকা যৌতকের জন্য চাপ প্রোয়গ করে। শাহীনার বাবা ও তার প্রবাসী তিন ভাই উক্ত টাকা প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করলে নুরুজ্জামান শাহীনাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় এবং নুরুজ্জামান হুমকী দেয় ১ সপ্তাহের মধ্যে তাকে ২ লাখ টাকা দিতে হবে। শাহীনা টাকা প্রদানে আবাও অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে তার স্বামীর বাড়ীর দক্ষিন ভিটির ভিতরে নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে করে শাহীনাকে কিল ঘুসি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে এত শাহিনা অজ্ঞান হয়ে ঘরেই লুটিয়ে পরে। পরে শাহীনার জ্ঞান ফিরার পর সে পালিয়ে পাশের বাড়ী গিয়ে শাহীনা তার বাবাকে মোবাইল ফোনে এ ঘটনা জানায় এবং বলে আমাকে এই মুহুর্তে এখান থেকে নিয়ে যাও না হলে নুরুজ্জামান আমাকে মেরে ফেলবে। শাহীনার বাবা হাজী আব্দুর রহমান পুলিশের সহযোগীতা নিয়ে শাহীনাকে উদ্ধার করে এবং নুরুজ্জামানের সাথে ঘটনার নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করে কিন্তুু নুরুজ্জানা ২ লাখ টাকা ছাড়া শাহীনাকে নিয়ে ঘর-সংসার করবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেয় এবং শাহীনাকে ৬ বছরে কন্যা ও ৪ বছরে পুত্রকে সহ বাড়ী থেকে বেড় করে দেয়। শাহীনা তার দুই সন্তানকে নিয়ে কষ্টে, আর্ধাহারে অনাহারে দিন যাপন করছে। শাহীনা তার বিচার দাবী করে স্বামী নুরুজ্জানকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে যাহার মামলা নং ১০৭/১৩ দাউদকান্দি মডেল থানা তারিখ-৯/১/২০১৪ যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারা। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন থাকায় স্বামী নুরুজ্জামান, ভাশুর ছামাদ ও দেবর রুহুল আমিন, ভাগিনা কাটিং মাষ্টার জহির প্রতিনিয়ত মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য হুমকী-ধামকী ও প্রাণে নাশের ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় শাহীনা তার দুই সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। শাহীনা এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট উর্ধবতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছে।