বিএনপি নেতার আবাসিক হোটেল থেকে পতিতা আটক
ইয়ানূর রহমান : বেনাপোল পোর্ট থানার সামনে অবস্থিত শার্শা উপজেলা দূর্ণীতি দমন কমিশনের সাধারণ সম্পাদক ও বেনাপোল পৌর বিএনপি নেতা আক্তারুজ্জামান লিটু’র আবাসিক হোটেল মাহবুব থেকে অবৈধ কর্মকান্ডের অভিযোগে এক নারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে শার্শা উপজেলা দূর্ণীতি দমন কমিশনের সাধারণ সম্পাদক বেনাপোলের বিএনপি নেতা লিটু ক্ষমতার অপব্যবহার করে পোর্ট থানার সামনে মাহবুব নামের একটি আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা চালিয়ে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করে আসছিল। এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখেও থেমে থাকেনি তার হোটেলে দেহ ব্যবসা।
সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সুত্র জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে বহিরাগত ও এলাকার মাদক সেবীরা উক্ত হোটেলটি মাদক সেবনের আখড়ায় পরিণত করেছে। নিকটে থানা থাকা সত্ত্বেও গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে বহিরাগতদের আনাগোনা দেখা যায়।
এ সময় তারা আরো জানান, সোমবার দুপুরে ভারতীয় এক ট্রাক ড্রাইভার বিশেষ জৈবিক চাহিদা মেটানোর জন্য পোর্ট থানার সামনে হোটেল মাহবুবে আসে। এ সময় ম্যানেজারের কাছে বিশেষ চাহিদানুযায়ী দ্রব্য চাইলে তার হোটেলে থাকা কয়েকজন পতিতাকে দেখায়। সেখানে থাকা পতিতাদের পছন্দ না হওয়ায় বাইরে থেকে ফোন করে আরো একজন পতিতাকে নিয়ে আসে। সেটিও পছন্দ না হওয়ায় সে চলে যেতে চায়। এ সময় হোটেল ম্যানেজার তাকে গতিরোধ করে উক্ত পতিতার ভাড়ার টাকা দিতে বলে। এ সময় ম্যানেজার ড্রাইভারকে বলে, আপনার জন্য অনেক কষ্ট করেছি। এখন আপনি এ পতিতাকে ব্যবহার করলেও টাকা দিতে হবে, না করলেও টাকা দিতে হবে। অনেক ধস্তাধস্তীর এক পর্যায়ে হোটেল ম্যানেজার ড্রাইভারের মোবাইল ও টাকা কেড়ে নেয় এবং কাঠের চলা দিয়ে মারধর করে। তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে ড্রাইভারকে উদ্ধার করে এবং সেখান থেকে বাইরে থেকে আনা ভ্রাম্যমান পতিতাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা হোটেলে থাকা অন্য পতিতা বা হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিয়ে কেবল আটককৃতকে থানায় নিয়ে যায়।
এ সময় পোর্ট থানার এসআই হান্নান শরীফ জানান, দূর্ণীতিবাজ হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশ দেখে হোটেলে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে। এজন্য হোটেলে তল্লাসী করা হলোনা।
এলাকাবাসী আরো বলেন, মাহবুব হোটেলের ম্যানেজার বলেছে পুলিশকে ২০ হাজার টাকা মাসোহারা দিয়ে হোটেল চালাতে হয়। অপকর্ম না করলে এ টাকা কি বাড়ি থেকে এনে দেব?
এ সময় হোটেল ম্যানেজারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোনটি বারবার কেটে দেন।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) অপূর্ব হাসান বলেন, পতিতা বৃত্তির অভিযোগে এক পতিতাকে আটক করা হলেও কোন খর্দ্দের আটক না হওয়ায় কি করা যায় ভাবছি। তবে, আগামীকাল(আজ) তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।